ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ছিনতাইয়ের অভিযোগ করলে আবরারের অবস্থা হবে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার

রাবি করেসপন্ডেন্ট। | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
ছিনতাইয়ের অভিযোগ করলে আবরারের অবস্থা হবে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, (রাবি) : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ২০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে মোতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের হত্যাকাণ্ডের শিকার আবরার ফাহাদের মতো অবস্থা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় ভুক্তভোগীকে।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোতিহার হলে ছাত্রলীগের ওই নেতার রুমে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, ভাস্কর সাহা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও মোতিহার হলের ১৩২ নম্বর রুমে বাস করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সামছুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। মোতিহার হলের ১৫৯ নম্বর রুমে থাকেন তিনি।

লিখিত অভিযোগে সামছুল ইসলাম জানান, তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি মোবাইল সার্ভিসিং করে জীবিকা নির্বাহ করেন ও পরিবার চালান। গত সোমবার (১৫ আগস্ট) মোতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা তাকে ফোন দিয়ে দেখা করার কথা বলেন। তিনি গেলে ভাস্কর চাঁদা দাবি করের। তারপর টাকার জন্য প্রতিনিয়ত ফোন দিতে থাকেন মানসিকভাবে টর্চার করেন। অর্থ দিতে অক্ষম হওয়ায় শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৩টায় ভাস্কর সাহা নিজ রুমে ডেকে নিয়ে আমার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে আনুমানিক ২০ হাজার টাকা কেড়ে নেন ও আরও ৬ হাজার টাকা দাবি করেন।

তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের জানানোর কথা বললে তাকে রড এবং স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক মারা হয়। এছাড়া কাউকে জানালে আবরারের যে অবস্থা হয়েছে তেমন হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। রাত ১১টার মধ্যে আরও ৬ হাজার টাকা না দিলে হল থেকে বের করার হুমকি পান তিনি। অভিযোগের শেষে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি ভয়াবহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও উল্লেখ করেন।

মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মোতিহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা বলেন, তার সঙ্গে আমার এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি জানি, সে আমার হলে মোবাইল সার্ভিসিং করে। মোবাইল ঠিক করার জন্য আমার দুই ছোট ভাই তাকে ফোন দেওয়ার কথা বলে। পরে সে বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বিষয়টা আমরা দেখছি। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেব।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ভাস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বাংলাদেশ সময় : ০১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।