ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শেষ মুহূর্তে উপচে পড়া ভিড় রিহ্যাব ফেয়ারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
শেষ মুহূর্তে উপচে পড়া ভিড় রিহ্যাব ফেয়ারে ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: দেশের আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় বাৎসরিক মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২১’ এর শেষ দিন সোমবার (২৭ ডিসেম্বর)। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্লট ও ফ্ল্যাটের ওপর বিশেষ ছাড় দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছেন।

শেষ মুহূর্তে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত রিহ্যাব ফেয়ার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।  

সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলায় সামর্থ্যের মধ্যে পছন্দের ফ্ল্যাট খুঁজছেন ক্রেতারা।  

মেলায় ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত দুই বছর করোনার কারণে মেলা না হওয়ায় ক্রেতাদের যেমন ভিড় বেড়েছে, ঠিক তেমনি বিক্রেতারাও বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

এ ব্যাপারে স্কাইভিউ ফাউন্ডেশন লিমিটেডের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাহি উদ্দিন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর মেলা হয়নি। মেলা থেকে আমরা একটা ভালো সাড়া পাই। আশা করছি এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সক্ষম হবো।

মিরপুর ১২ নম্বর সেকশন থেকে পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন জসিম উদ্দিন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দুদিন আগে একা মেলায় এসে ফ্ল্যাট দেখে গেছি। আজ পরিবার নিয়ে আসলাম যাচাই-বাছাই করে আশা করছি ফ্ল্যাট বুকিং দেব।

তিনি বলেন, ১২০০ থেকে ১৫০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট বুকিং দেব। ১০০০ হাজার স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটও দেখেছি, পছন্দও হয়েছে। তবে এটা তো আর বারে বারে কেনা সম্ভব নয়, তাই কষ্ট হলেও মাঝারি সাইজের ফ্ল্যাট কিনবো।

প্রতিবছর মেলায় শেষের দিনে ভিড় বাড়ে। তবে গত বছর করোনার কারণে রিহ্যাব ফেয়ার আয়োজন সম্ভব হয়নি তাই এ বছর ক্রেতাদের ভিড় অনেকটা বেশি বলে জানালেন রাজবাড়ী হোল্ডিংস লিমিটেডের প্রতিনিধি শেখ সেজানুর রহমান।  

এ ব্যাপারে রিহ্যাবের প্রথম সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ বলেন, গত দুই বছর আমরা মেলা আয়োজন করতে পারিনি। এ বছর প্রচুর ক্রেতা আসছে।  

তিনি বলেন, প্রতিবছরই মেলা থেকে আমরা ভালো সাড়া পাই, এবারো পাচ্ছি। করোনার মধ্যে এ সেক্টরে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, এ মেলা থেকে আশা করছি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।

এবারের মেলায় প্রায় ১৫০টি আবাসন প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলায় রয়েছে ২২০টি স্টল। এছাড়া মেলায় ১৫টি নির্মাণসামগ্রী এবং ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। যতবার আয়োজন করি সাড়া পাই। করোনা যে সংকট চলছে ক্রেতা টানতে অনেক প্রতিষ্ঠান প্লট কিংবা ফ্ল্যাট বুকিংয়ে দিচ্ছে বিশেষ ছাড়।

মেলায় ঘুরে ঘুরে সাধ আর সাধ্যের মধ্যে ফ্ল্যাট পছন্দ করেন দর্শনার্থীরা। কেউ কেউ বুকিংও দিচ্ছেন মেলায় এসে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকছে, চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলার প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
এসএমএকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।