ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রেতাকে ক্যাশ ভাউচার তুলে দিলেন মাশরাফি

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯
ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রেতাকে ক্যাশ ভাউচার তুলে দিলেন মাশরাফি ফ্রিজ ক্রেতার হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দিচ্ছেন ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মাশরাফি বিন মুর্তজাসহ ওয়ালটনের কর্মকর্তারা।

ঢাকা: ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রেতাকে ক্যাশ ভাউচার তুলে দিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক এবং ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মাশরাফি বিন মুর্তজা। 

সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এক অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী লিটন দেওয়ানের হাতে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার তুলেন দেন তিনি।  

সোমবার (২ ডিসেম্বর) ওয়ালটন থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সারাদেশে চলছে ওয়ালটন ফ্রিজের ‘উইন্টার ফেস্টিভ্যাল’। এ উপলক্ষে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য রয়েছে দারুণ সব সুবিধা। এর মধ্যে রয়েছে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচারের সুযোগসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়া অসংখ্য ক্রেতার একজন নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী লিটন দেওয়ান। মাশরাফির হাত থেকে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পেয়ে বেজায় খুশি তিনি।

প্রসঙ্গত, অনলাইনে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল ডাটাবেইজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও গ্রাহক দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে সহজেই কাঙ্খিত সেবা নিতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে ফ্রিজের ক্রেতাদের ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচারের সুযোগসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আলমগীর আলম সরকার ও ইউসুফ আলী এবং সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহসিন আলী মোল্লা।

ক্রেতা লিটন দেওয়ান জানান, তিনি নারায়ণগঞ্জের পাগলাবাজারে রডের ব্যবসা করেন। তার বাসায় বিদেশি ব্র্র্যান্ডের একটি ফ্রিজ ছিল। কিন্তু সেটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন আরও একটি ফ্রিজ কেনার প্রয়োজন হয়। এজন্য তিনি বেছে নেন বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটনকে। বাড়ির কাছেই ওয়ালটনের পরিবেশক ‘ইলেট্রোপ্লাস’-এর শোরুম। সেখান থেকে পছন্দের ফ্রিজ কিনে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে রেজিস্ট্রেশন করলে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। ওই টাকায় একটি এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন এবং ব্লেন্ডার কিনেছেন লিটন।

তিনি বলেন, ওয়ালটন পণ্য ভালো সার্ভিস দেয়। এর আগে ওয়ালটনের একটা স্মার্ট এলইডি টিভি কিনেছি। এবার ফ্রিজ কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ায় খুবই ভালো লাগছে। আরও ভালো লাগছে ওয়ালটন কারখানায় মাশরাফির হাত থেকে সেই ক্যাশ ভাউচার পেয়ে। আবার ওয়ালটন ফ্রিজের অত্যাধুনিক কারখানাও স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।

জানা যায়, আন্তর্জাতিকমান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে রয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

ফ্রিজে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট ইত্যাদি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। দেওয়া হচ্ছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এর সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্য এবং কিস্তি সুবিধা থাকায় দেশের বাজারে গ্রাহক প্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ।

ওয়ালটনের সেলস বিভাগ জানায়, দেশজুড়ে তাদের রয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি শোরুম। যেখান থেকে ক্রেতারা চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী দেড় শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ফস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ থেকে পছন্দের পণ্যটি কিনতে পারছেন। এসব ফ্রিজের দাম ১০ হাজার থেকে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে।

নগদ মূল্যের পাশাপাশি কিস্তিতেও ওয়ালটন পণ্য কেনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ঘরে বসে অনলাইনের ইপ্লাজা থেকে ফ্রিজসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাচ্ছে।

কিস্তি এবং অনলাইনে কেনা ফ্রিজেও ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক রয়েছে। ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারাদেশে রয়েছে ৭২টি সার্ভিস পয়েন্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।