ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজধানীতে সিরামিক এক্সপো শুরু ৫ ডিসেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
রাজধানীতে সিরামিক এক্সপো শুরু ৫ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তিনদিনের সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-২০১৯।

এ আয়োজনে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০টি দেশের ১৫০টি ব্র্যান্ড অংশ নিচ্ছে এ এক্সপোতে। এশিয়ার অন্যতম এ সিরামিক মেলার আয়োজনে করেছে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসইএ)।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিসিএসইএ’র সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।

এছাড়া মেলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন। আগামী ৫ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় চারটি হলে এ মেলার উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

৭ ডিসেম্বর রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে মেলার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

বিসিএসইএ’র সভাপতি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য বিশ্ববাজার দখল করা। বর্তমানে আমরা সিরামিকের বিশ্ববাজারে চার শতাংশ অবদান রাখছি। আশা করছি, আগামী ৫/৭ বছরে ২০/২৫ শতাংশ অবদান রাখতে পারবো। রপ্তানিখাতে সরকার ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে। নগদ ১০ শতাংশ প্রণোদনা দিলে এখাত আরও এগোবে। কারণ আমাদের উৎপাদিত পণ্য আন্তর্জাতিক মানের। আমাদের দক্ষ জনবল ও সহনীয় মূল্যে গ্যাস থাকায় এটা সম্ভব হবে। তবে একটি সমস্যা রয়েছে সিরামিকের সব কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। পাশাপাশি আমদানি করা পণ্য লোড-আনলোডে অনেক সময় লেগে যায়।

তিনি বলেন, গত ১০ বছরে সিরামিকখাতে উৎপাদন বেড়েছে ২শ শতাংশ। বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। ৫০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করে বছরে আয় হয় প্রায় ৫ কোটি ডলার। এ শিল্পে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫ লাখ মানুষ খাতটির সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান সিরামিক পণ্য উৎপাদন করছে। আরও ১২টি উৎপাদনে যাবে।

তিনি বলেন, সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-২০১৯ দেশের দ্বিতীয় ও সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক এবং সরবরাহকারীরা তাদের নতুন পণ্য, আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিজেদের দক্ষতা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন এ এক্সপোতে। এক্সপোর মাধ্যমে দেশীয় সিরামিক পণ্য বাজারজাতকরণের পাশাপাশি ব্যবহার সচেতনতা বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে থাকবে স্পট অর্ডারের সুযোগ।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন বলেন, উন্নত গুণগতমান ও আকর্ষণীর ডিজাইনের কারণে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি সিরামিক পণ্যের কদর বাড়ছে। আমাদের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক বাজার দখল করা। সেটা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে করতে পারবো বলে আশা করছি। কারণ আমরা আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তৈরি করছি। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে নতুন নতুন বাজারও সৃষ্টি হচ্ছে বলেও যোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওয়েম বাংলাদেশ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এক্সপোতে একই ছাদের নিচে থাকছে ২০টি দেশের মোট ১২০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫০টি ব্র্যান্ড। এছাড়া অংশ নেবেন ৩শ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ও ৫শ জন বায়ারস হোস্ট। তিনদিনের এ এক্সপোতে দক্ষতা উন্নয়ন, ব্রন্ডিং, নতুনত্ব, এসডিজিতে অবদান নিয়ে পাঁচটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।   তিন দিনব্যাপী এ মেলায় দর্শনার্থী ও ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি মামুনর রশিদ, বিসিএমইএ’র পরিচালক গাজী মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, আব্দুল হাকিম, শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তনভীর আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।