ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আইসিসিবিতে মিলছে এক ছাদের নিচে পোশাক শিল্পের সব পণ্য 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
আইসিসিবিতে মিলছে এক ছাদের নিচে পোশাক শিল্পের সব পণ্য  আইসিসিবিতে অনুষ্ঠিত মেলার স্টল-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত মেলায় গার্মেন্টস মেশিনারিজ এক্সেসরিজ টেকনোলজি ইয়ারন ফেব্রিকস ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনে (জিটিএমএটি) তৈরি পোশাক এবং অফিস স্টেশনারি শিল্পের সব পণ্য পেলো দর্শনার্থীরা।

গত বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই মেলায় পোশাক কারখানার সুইং মেশিন, ফেব্রিকসসহ সব ধরনের যন্ত্রাংশ, কল-কারখানায় ব্যবহৃত আসবাবপত্র, পানি এবং বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট পণ্য এক ছাদের নিচে পেয়েছে দর্শনার্থীরা। ফলে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিলো অন্যবারের তুলনায় বেশি।

বেশ কিছু বিক্রির অর্ডার পেয়েছে ব্যবসায়ীরা।
 
আইসিসিবিতে তিন দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে কাইটস ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিভিশন প্রাইভেট লিমিটেড। তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত মেলায় বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, হংকং, চীনসহ মোট ছয়টি দেশের ৮০টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে।
 
তৈরি  পোশাক এবং অফিস স্টেশনারি শিল্পকে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ায় মেলার প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানান বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফেকচারারস অ্যান্ড এক্সপোটারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাদের খান।
 
তিনি বলেন, এতদিন পণ্যগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো, এখন তা দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। তা মানুষকে জানান দিতে আমাদের এই প্রচেষ্টা। এতে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরাই উপকৃত হবেন।
 
অ্যালেক্স ফার্নিচারের অপারেশন বিভাগের প্রধান আব্দুল্লাহ আল হাদী বাংলানিউজকে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের অফিস-আদালতে কি ধরনের ফার্নিচার প্রয়োজন তা আমরা মেলায় প্রদর্শন করছি।
 
তিনি বলেন, চেয়ার-টেবিলের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেক, কার্টিং টেবিল এবং চেকিং টেবিলসহ ৪০ ধরনের পণ্য মেলায় এনেছি। দর্শনার্থীরাও খুব আগ্রহ সহকারে পণ্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা মেলায় এসে সন্তুষ্ট।
 
এসিআই মটরসের প্রোডাক্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার হাসান মাহমুদ তারেক বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় প্রদর্শনীর জন্য গলফ কার এনেছি। দর্শনার্থীদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বেশ কিছু অর্ডার পেয়েছি। বাংলাদেশে আমরাই শুরু করছি, শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি শুরু করবো।
 
তিনি বলেন, এই পণ্য ছাড়াও কারখানার মালিক কিংবা বাড়ির মালিকরা আমাদের জেনারেটর, ট্রাক্টর, হারভেস্টর ও রিপার (ধান কাটার যন্ত্র) দেখছেন। মেলায় এসে আমাদের পণ্যগুলোকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছি। এইগুলোর ব্র্যান্ডিং হচ্ছে। মেলায় এসে আমরা খুশি।
 
চন্দদীপ ফার্নিচারের প্রধান হাফসা আখতার রিপা বাংলানিউজকে বলেন, চেয়ার-টেবিলসহ অফিসিয়াল পণ্যগুলোকে পরিচয় করিয়ে দিতে এই মেলায় এসেছি। দর্শনার্থীদের ভালো সাড়াও পেয়েছি।
 
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) শুরু হওয়া এই মেলা শেষ হবে শনিবার রাত ৮টায়। মেলায় ৮০টি কোম্পানির মোট স্টল ১২০টি রয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য সক‍াল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
এমএফআই/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।