ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

খুলনায় এসএমই পণ্যমেলা উপলক্ষে সেমিনার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
খুলনায় এসএমই পণ্যমেলা উপলক্ষে সেমিনার খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনার

খুলনা: খুলনায় ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে স্থানীয় পণ্যের প্রভাব-সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) অর্ধদিবস ব্যাপী এসএমই ফাউন্ডেশনের আয়োজনে খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক এসএম আরিফুজ্জামান।

প্রবন্ধকার জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জাতীয় অর্থনীতিতে এসএমই পণ্যের অবদান ২৭ শতাংশ এবং এ সেক্টরের কাজ করছে ৩৫ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ২০১৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ৪২ শতাংশ।

এসএমইকে বাংলাদেশের চালিকা শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এ সেক্টরের বিরাজমান সমস্যাবলী দূর করা গেলে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।

তিনি তার প্রবন্ধে এসএমই শিল্প বিকাশে অর্থ বা ঋণের সহজলভ্যতা না থাকা, ঋণের সুদের হার বেশি, দক্ষ জনশক্তির অভাব, প্রযুক্তি সহজলভ্য না হওয়া, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা, বিপণনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা, প্রশিক্ষণের সীমাবদ্ধতা, সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতা, পণের মান নির্ধারণের ব্যবস্থা না থাকা এবং তথ্য উপাত্তের সংকট ইত্যাদি সমস্যাকে চিহ্নিত করেন।

তিনি বলেন, গত বছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের চাহিদার বিপরীতে ঋণের ব্যবস্থা করা গেছে মাত্র ৪১ শতাংশ। অর্থের অভাবে অনেক উদ্যোক্তাই তাদের উৎপাদিত পণ্যের মান ভালো হওয়া সত্বেও ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালাতে পারেন না, ব্রান্ডিং করতে পারছেন না। ফলে তাদের পণ্য মার খাচ্ছে, সাহস হারাচ্ছেন। এসব সমস্যা সমাধানে সরকারি উদ্যোগ কামনা করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক সভাপতির বক্তব্যে বলেন, এসএমই শিল্পে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ আশাব্যঞ্জক। তারা পণ্য উৎপাদন করে নিজেদের এবং দেশের ভাগ্যোন্নয়ন করছেন। মেলাতে শুধু পণ্য বিক্রিই আসল উদ্দেশ্য না, মেলা থেকে ব্যাপক ধারণা নেওয়া এবং পণ্যের প্রচারও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে  ই-কমার্স শক্তিশালী। তাই এর মাধ্যমেও পণ্যের প্রচারসহ ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। পদ্মাসেতু শুধু গাড়ি পারাপারের জন্যই নয়, এ সেতু এ অঞ্চলের জন্য উন্নয়ন নিয়ে আসবে। উন্নয়নের স্রোতধারায় সম্পৃক্ত হতে তিনি খুলনা অঞ্চলের জনগণকে এখনই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আমজাদ হোসেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ এবং জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির (নাসিব) সভাপতি মো. ইফতেখার আলী বাবু।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. মনিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ নেওয়াজ।

সেমিনারে ঢাকাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রায় ৮০ জন শিল্প উদ্যোক্তা/প্রতিনিধি অংশ নেয়। তারা তাদের সফলতার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যাবলী উপস্থাপন পূর্বক সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
এমআরএম/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।