ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নির্বাচনের বছর বাজারে যথেষ্ট কালো টাকা আসবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
নির্বাচনের বছর বাজারে যথেষ্ট কালো টাকা আসবে বক্তব্য রাখছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত/ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: নির্বাচনী বছর হওয়ায় এবার বাজারে টাকা-পয়সার বেশি ছড়াছড়ি হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এছাড়া নির্বাচন ঘিরে বাজারে যথেষ্ট কালো টাকা আসবে বলেও জানান তিনি।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রূপালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

তারা বলেন ব্যাংকিং ব্যবস্থা দুর্বল। তারা ভুলে যান আমরা কোন অবস্থা থেকে ব্যাংকিং ব্যবস্থা শুরু করেছি। ব্যাংকিং ব্যবস্থা যখন শুরু হলো তখন সব থেকে বড় সমস্যা ছিল ডিফল্ট (খেলাপি ঋণ) এবং ডিফল্ট রেট। অর্ধেকের বেশি ডিফল্ট রেট ছিল। সেখান থেকে সরকারি ব্যাংকগুলো অনেক উন্নতি করেছে।  

‘এছাড়াও ব্যাংকিং সেক্টরে অনেক অসুবিধা ছিল। ফরেইন এক্সেঞ্জের রেট পরিবর্তনের ফলে ব্যাংক ব্যবস্থা দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতি ডলার ৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে একটানে সাড়ে ৭ টাকা, তারপরে ১৫ টাকা হওয়ায় ব্যাংকগুলো ঝামেলায় পড়েছিলো।  

মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং খাত এভাবে আস্তে আস্তে প্রসার লাভ করেছে এবং বর্তমানে ব্যাংকিং খাতের অবস্থা খুব খারাপ নয়, মোটামুটি ভালো। ব্যাংকিং খাত দুর্বল থাকলে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হতো না।

এদিকে দেশের অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংকের এডি র‌্যাশিও (আমানত ও ঋণ বিতরণের হার) নির্ধারিত সীমা (সাধারণ ব্যাংকের জন্য ৮৫ ও ইসলামী ব্যাংকের জন্য ৯০) অতিক্রম করেছে। ফলে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নগদ তারল্যের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববারের অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীও জানালেন সে কথা।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের ব্যাংকিং খাতের আমানত ও ঋণের হার কিছুটা বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকও বিষয়টি নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। কেননা এবছর নির্বাচনের বছর হওয়ায় টাকা-পয়সার ছড়াছড়ি একটু বেশি হবে। কালো টাকাও বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে বাড়বে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চিন্তিত। তবে র‌্যাশিও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।  

সম্মেলনে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আতাউর রহমান প্রধানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেনসহ ব্যাংকের পরিচালকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
এসআইজে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।