ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বগুড়ায় বাজুস’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩
বগুড়ায় বাজুস’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কথা বলছেন ডা. দিলীপ কুমার রায়।

বগুড়া: বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেছেন, আগামী দিনে বাংলাদেশ যেন বহির্বিশ্বে স্বর্ণ রপ্তানি করতে পারে সেজন্য স্বর্ণ রিফাইনারি কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সেখান থেকে স্বর্ণ বাজারজাত করা সম্ভব হবে।

এর ফলে এদেশ থেকে স্বর্ণ রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে অতিরিক্ত দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি যোগ করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে স্বর্ণ শিল্পের যে সোনালি অতীত তা আবারও ফিরে আসবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাত ৯টায় বগুড়া টিএমএসএস মহিলা মার্কেটের কমিউনিটি সেন্টারে বাজুস বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বর্ণ শিল্পকে বিকশিত করতে একটি যুগোপযোগী স্বর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। সেই নীতিমালার আলোকেই বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর দেশে একটি স্বর্ণ রিফাইনারি কারখানা গড়ে তুলছেন। এর ফলে এখন আর বিদেশ থেকে স্বর্ণ আমদানি করতে হবে না। বরং এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে গুণগত মানের স্বর্ণ রপ্তানি করা হবে। এদেশের স্বর্ণশিল্পী যারা বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন কাজের জন্য তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে এখানে উন্নত মানের স্বর্ণালংকার তৈরি করানো হবে। সেই অলংকার বিদেশে রপ্তানি করাই বাজুসের আগামীর লক্ষ্য।

ডা. দিলীপ কুমার রায় আরও বলেন, বাজুস বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক সংগঠন। এই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর আধুনিক স্বর্ণশিল্পের রূপকার। দেশের স্বর্ণালংকারকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করতে তিনি কাজ করছেন। তার ইচ্ছায় দেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা এক ছাতার নিচে এসেছেন। কারণ তিনি মনে করেন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে সব ব্যবসায়ীকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।

সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসের দায়িত্ব গ্রহণের পর সারা দেশে সাধারণ জুয়েলারি মালিকরা বাজুসের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কারণে সুফল পাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ৬৪ জেলার ৪০ হাজার সদস্য নিয়ে বাজুস এখন সক্রিয় ও সুসংগঠিত সংগঠন। এর কোনো সদস্য স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ে হয়রানির শিকার হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

বগুড়া জেলায় গোল্ড টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ল্যাব স্থাপন হলে নিম্নমানের স্বর্ণ চেনা যাবে এবং স্বর্ণ বিক্রি করা সহজ হবে। এতে কেউ নিম্নমানের স্বর্ণ বিক্রি করতে পারবে না। বাজুসের রেটে স্বর্ণ বিক্রি করতে হবে এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন স্বর্ণ বিক্রি করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং বগুড়া জেলা শাখার আহ্বায়ক রিপনুল আহসানের সভাপতিত্বে বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, বগুড়া শাখার সদস্য সচিব ফিরোজ আহমেদ বাবুসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।  

সভায় বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২০
কেইউএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।