ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

মাঝারি তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুর, অস্বস্তিতে জনজীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৪
মাঝারি তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুর, অস্বস্তিতে জনজীবন

মেহেরপুর: চলতি মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে রোজাদার, দিনমজুর ও শ্রমিকেরা পড়েছে বিপাকে।

শুধু মানুষ নয়, প্রাণীকুলেও শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস।  

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৫৫%। এর আগে বেলা ১২ টার সময় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৯%।

বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে গরমের অস্বস্তি বেড়ে গেছে বলে জানান, চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। মূলত সোমবার (০১ এপ্রিল) থেকে আবহাওয়া গরম হতে শুরু করে। এদিন বিকেল ৩টায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা চলতি মৌসুমে এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে আবহাওয়া প্রচণ্ড গরম হওয়ায়, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রোজাদাররা বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা চালকেরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ।

মেহেরপুর শহরের রিকশা চালক আয়ূব আলী জানান, তিন থেকে চারদিন প্রচণ্ড গরম পড়ছে। দুপুর থেকে ভাড়া মারতে পারছি না। রোদ আর গরমের কারণে যাত্রীও ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না।

শোলমারি গ্রামের রিকশাচালক হারান মণ্ডল বলেন, দুপুর হলেই শরীরে ক্লান্তি চলে আসছে। ইচ্ছে থাকলেও ভাড়া মারতে পারছি না। বিকেলের আগেই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। এমন গরম পড়লে ভ্যান চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।

গাংনীর মালশাদহ গ্রামের কৃষক আজিবার রহমান বলেন, মাঠে বোরো ধানের সেচ চলছে। রোদের কারণে গরমে বেশিক্ষণ মাঠে থাকা যাচ্ছে না। অনেক রোজাদার কৃষক মাঠে কাজ করছেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই তারা বাড়ি চলে যাচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রির ঘরে উঠতে পারে।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার পরামর্শ দিয়ে বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর থেকে বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোর ও যারা রোজা থাকতে পরছেন না তাদেরকে ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।