ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

পানির রাজ্যে পাহাড়ের বুদ্ধ...

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
পানির রাজ্যে পাহাড়ের বুদ্ধ... ছবি- শামীম হোসেন ও সোহেল সারওয়ার

বরকল, রাঙামাটি ঘুরে: সৌম্য অবয়ব। নিবিষ্ট মনে স্থির দাঁড়ানো এক প্রতিমূর্তি তার।

 বহুদূর থেকেই পাহাড়ের ভাজে অল্প ফাঁক দিয়েই চোখে পড়ে তার সোনালী মূর্তির উন্নত শির। চারদিকে বিস্তীর্ণ জলরাশি ভেঙে, পাহাড় ডিঙিয়ে যতোই কাছাকাছি যাওয়া যায়, ততই স্পষ্ট হয়ে ওঠে সু্ুউচ্চ পাহাড় চূড়ার মাঝ বরাবর তার দেহ কাঠামো।

রাঙামাটির পানিবেষ্টিত দুর্গম উপজেলা বরকল যাওয়ার পথে বিখ্যাত শুভলং ঝরনার আগে এক পাহাড় চূড়ায় তৈরি করা হয়েছে এ বুদ্ধ মূর্তি।
যে পাহাড় চূড়ায় এ বুদ্ধ মূর্তি তৈরি করা হয়েছে সে এলাকার নাম শিলছড়ি। তবে এ পাহাড়ের ওপর যে বিহার গড়ে উঠেছে তার নাম নির্বাণ নগর। এখানে কয়েকজন ভান্তে থাকেন। প্রধান ভান্তে ও বিহারের অধ্যক্ষের নাম ধর্মতীস্য ভান্তে।

আরেক প্রধান ভান্তে নন্দপাল ভান্তে। তারা রাঙামাটির রাজবন বিহারের প্রয়াত ধর্মগুরু বড়ভান্তের শিষ্য।

১৫ একর জায়গা নিয়ে গঠিত এ বিহার তৈরি হয়েছে প্রায় ৪ বছর আগে। এখানে রয়েছে কয়েকটি কুটির।

এসব তথ্য জানালেন দীপন চাকমা নামে এক তরূণ।

নির্বাণ বিহার পার হয়ে শুভলং এলাকার পাহাড়ি বাসিন্দা তিনি। রাঙামাটি শহরে কাজ করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এক কর্মী হিসেবে।

নিজে ও পরিবারের সঙ্গে প্রবারণা, কঠিন চীবর দানসহ নানা অনুষজ্ঞ ও উৎসবে নির্বাণ বিহারে গেছেন তিনি।

দীপক জানালেন, দণ্ডায়মান মূর্তিটির আনুমানিক উচ্চতা ৩০-৩৫ ফুট। ধাতুর তৈরি এ মূর্তির ওপর দেয়া হয়েছে সোনালী প্রলেপ। ফলে বহুদূর থেকে তা দৃষ্টিগোচর হয়।
তিনিই জানালেন পাহাড়ে বুদ্ধের পাশে যে পতাকা ওড়ানো, সাতরঙা ওই পতাকাটি বৌদ্ধদের ধর্মীয় পতাকা।

কীভাবে যাবেন
রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে বরকল বা লংগদুগামী ছোট ট্রলার বা লঞ্চে উঠতে হবে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ছাড়ে লঞ্চ। শুভলং ঝরনার আগে নির্বাণ বিহারে থামে না ট্রলার। তবে বললে সেখানে নামিয়ে দেবে। ফেরার পথে বিহারের পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সংকেত দিলে তুলে নেবে যেকোনো ট্রলার বা লঞ্চ।

বরকল বা বিহার এলাকায় থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই, ফলে সর্বশেষ দুপুর ২টায় বরকল বা লংগদু থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ বা ট্রলার ধরতে হবে। যাত্রীপ্রতি ভাড়া পড়বে টাকা ১০০ টাকা। এছাড়া লঞ্চ বা ট্রলার ভাড়া করেও নিয়ে যাওয়া যায়।
বিহার এলাকায় বা লঞ্চে চা, বিস্কিট জাতীয় খাবার ছাড়া অন্য খাবার নেই। ফলে পর্যটকদের খাবার সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।

আর, পানির রাজ্য হলেও পাহাড়ের বুদ্ধকে দেখতে আসা-যাওয়ার পথে খাবার পানি সঙ্গে আনতে হবে নিজেকেই।

** প্রশান্তি বিলাতে কাপ্তাইয়ের ‘রিভার ভিউ পিকনিক স্পট’
** দেশের যে শহরে রিকশা নেই!
** খাগড়াছড়ির প্রবারণা উৎসবে…
** 'জিরাফ গলার' ঝুলন্ত সেতুর আকর্ষণও কম নয়
** রেল স্টেশনে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি
** রাবার ড্যামে চেঙ্গী নদীপাড়ের কৃষকদের সুদিন

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
এসআর/এমএ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ