ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

সুন্দর ঝরনার দুঃখ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
সুন্দর ঝরনার দুঃখ ছবি: সোহেল সারওয়ার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাঙ্গামাটি থেকে: রাঙ্গামাটি জেলা সদরের ঘাগড়ার কলাবাগান পাড়ার ‘হাজাছড়া’ ঝরনাটি বেশ মনোমুগ্ধকর। সৌন্দর্য দিয়ে যে কোনো পর্যটককে আকৃষ্ট করে ফেলে এটি।

তবে সেই পর্যটকদেরই ‘অসেচেনতা’ আর ‘অবহেলা’র কারণে নষ্ট হচ্ছে ঝরনাটির সৌন্দর্য।

তাদের ফেলা চিপস-সিগারেটের প্যাকেটসহ অন্যান্য  ময়লা-আবর্জনার কারণে যেনো রীতিমতো ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে ঝরনাটির পাদদেশ।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) সরেজমিনে হাজাছড়া ঝরনা ও ছড়া ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। অথচ পর্যটকদের একটু সচেতনতাই পারে প্রকৃতির অপার সৌন্দযের এ আধারের পরিবেশকে রক্ষা করতে।

চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের পাশেই কলাবাগান পাড়া। পাহাড়ি আঁকা-বাঁকা সড়ক থেকে একটু ডানে এগিয়ে ছড়ায় ছড়ায় যেতে হয় ঝরনাটিতে।

চিপসের প্যাকেট, পানির বোতল পড়ে আছে ছড়াটিতেও। পড়ে আছে সিগারেটের প্যাকেটসহ বিভিন্ন আবর্জনা।

ছড়াটি ধরে সামনের দিকে এগোলে আরও বেশি চোখে পড়ে এসব ময়লা-আবর্জনা।

তবে পাহাড়ের বেশ উপরে যেখানে মূল ঝরনার পাদদেশ, সেখানকার অবস্থা দেখে মনেই হতে পারে এটা কোনো ডাস্টবিন।

ঝরনায় গোসল আর হই-হুল্লোড়, এভাবেই পর্যটকরা নোংরা করছেন ছড়া-ঝরনার পরিবেশ। এসব দেখে বিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাদের ভাষ্য, পর্যটকদের অসচেতনতার কারণে ঝরনা পরিবেশটা নষ্ট হচ্ছে। নিজ উদ্যোগেই স্থানীয়দের অনেকে এগুলো পরিষ্কার করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যেই সেই।

‘সুন্দরকে অসুন্দর করে একেবারে ডাস্টবিন করে ফেলেছে অনেকে,’ বলেন স্থানীয় বাসিন্দা অটোরিকশা চালক আবুল কালাম।

তিনি বললেন, আমরা চাই ঝরনাটির প্রচারণা হোক, লোকজন বেশি করে আসুক। শহরের কাছাকাছি অত্যন্ত সুন্দর এটি। বর্ষাকালে পানি থাকে বেশ, তবে শীতকালে কমে যায়।

তবে এখনও কম করে হলেও দিনে ৫০-৬০ জন পর্যটক আসেন এখানে।
পর্যটকদের সুবিধার্থে তাদের ছেলে-নাতিরাই নিজ উদ্যোগে ঝরনায় যাওয়ার পথ পরিষ্কার করা কিংবা গাইড হিসেবে কাজ করেন বলে জানালেন স্থানীয় দোকানী আফিজা বেগম।

ঝরনায় ঘুরতে আসা রাউজানের কলেজ ছাত্র হুমায়ুন কবীর বলেন, যেহেতু সরকারের সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। প্রকৃতির পরিবেশ নষ্ট না করে তার নিজের মতোই থাকতে দেওয়া উচিৎ।
 আর এ স্পটটিকে পর্যটকবান্ধব করতে কাছাকাছি কোথাও ওয়াশরুম বা বিশ্রামাগার তৈরির দাবি জানান তিনি।

দেশের সবচেয়ে বড় জেলা রাঙ্গামাটি শহর থেকে কলাবাগান পাড়ার দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। সেখান থেকে আরও এক ঘণ্টার পথ যেতে হবে পাহাড়ি ছড়া দিয়ে।
সর্পিল ছড়া পিচ্ছিল হলে পাহাড়ের উপর দিয়েও ট্র্যাকিং করা যাবে। তবে ছড়া দিয়ে উপরের দিকে গেলে ট্র্যাকিংয়ের আনন্দ আরও রোমাঞ্চকরই হবে বটে।

**পাহাড় সঙ্গমে মৎস্যে ভরপুর রূপসী কাট্টলী

**খাবারের দামটাই যা বেশি তূর্ণা নিশিথায়

**পাহাড় থেকে বাজারে নেমে গেছে ‘ভাগের মা’ সড়কটি

**ফলদ-বনজে বিমুগ্ধ ফ্রুটস ভ্যালি

**আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথে

বংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭,২০১৬
এমএ/এইচএ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ