ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

উত্তাল সাগরে উপচে পড়া রূপ

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৬
উত্তাল সাগরে উপচে পড়া রূপ ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পর্যটন মোটেল শৈবাল থেকে: এটাই যেন যৌবনা সাগর। সশব্দ ঊর্মিমালার উচ্ছ্বাসে উদ্বেলিত সমুদ্রপাড়।

বিকেলটা অন্যরকম। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে উথলে পড়া সৌন্দর্য হাতছানি দিয়ে ডাকছে পর্যটকদের। কিন্তু দেশীয় পর্যটকে ভরপুর পর্যটন স্বর্গ কক্সবাজারের সৈকতে বিদেশি পর্যটক একজনেরও দেখা মেলেনি।

বর্ষায় যেন মাতাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। বিকেলে যে ঢেউ তীর জুড়ে আছড়ে পড়ছে, সকালে তা ছিলো আরও ভয়ানক- বলছিলেন সাগরপারের লাইফগার্ডের সদস্য জহির।

জহির জানান, ‘এখন দৃষ্টি রাখতে হয় মুহূর্তে মুহূর্তে। কারণ ঢেউ বাড়ছে। বড় বড় ঢেউয়ের তোড়ে অনেক সময় মানুষদের ভেসে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে দ্রুত ছুটতে হয়। তার মতো অর্ধশত লাইফ গার্ডের এখন সতর্ক দৃষ্টি লাবনী, কলাতলী সৈকতে।

পর্যটন মোটেল শৈবালের ভেতর দিয়ে সৈকতে নামার চমৎকার নির্জন পরিবেশ পাওয়া গেলো। যেখানে ভিড়-ভাট্টা নেই। কোন উৎপাতও নেই। শুধুই সমুদ্রের গর্জন। গর্জনে গা ভাসিয়ে অথবা দলবেঁধে শৈবালের বিচ থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ট সমুদ্রের হাওয়া লাগিয়ে কাটিয়ে দেয়া যায় সুন্দর বিকেল।

পর্যটন করপোরেশন জানায়, শৈবালের দিক থেকে এখন পর্যটকদের ঝোঁকটা লাবনী থেকে কলাতলীর দিকে ছুটে গেছে। তবে ঝোঁক আবারও ফিরিয়ে আনতে পাঁচতারা আর তিনতারা দুই ধরনের হোটেল মোটেল গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। পুরাতন শৈবাল ভেঙে গড়ে উঠবে পাঁচতারকা মানের হোটেল।

এদিকে, আবহাওয়া সংবাদ অনুযায়ী, বৈরী আবহাওয়া চলছে। একদিকে যেমন কক্সবাজারে ৩২ ডিগ্রি তাপমাত্রার গরম, অন্যদিকে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্রে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যে পুবালি লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছে। এ মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আর মূলত এ কারণেই দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও নৌবন্দরগুলোতে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে।

বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ, ইনানি, হিমছড়ি, বড়ছড়া ছাড়াও কক্সবাজার সৈকতের ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্ট, লাবনী পয়েন্ট, সি-গাল পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্ট বিচে একটু সতর্কতা রয়েছে।

তবে পর্যটকদের জন্য উৎকণ্ঠার তেমন কিছুই নেই। সমুদ্র তীর ধরে স্বচ্ছন্দ্যে হাঁটাচলা একটু পা ভিজিয়ে চলা অথবা গোসলে কোনো সমস্যা দেখছে না বিচে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবীরা।

তারা এও বলছেন, ‘যদি কৌশল জানা থাকে তাহলে পুরো কক্সবাজার-টেকনাফের ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত পর্যটকের কাছে নিরাপদ। তবে কৌশল না জানা থাকলে পুরোটাই ঝুঁকিপূর্ণ।



বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৬
এসএ/আরআই

** কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন-সুন্দরবন ঘিরে নানা পরিকল্পনা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ