ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাইব্যুনাল

ভাগনি হত্যার দায়ে মামার ফাঁসি, দুইজনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
ভাগনি হত্যার দায়ে মামার ফাঁসি, দুইজনের যাবজ্জীবন রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আতালতে উপস্থিত ছিলেন। ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: শ্রীপুরের ছলিং মোড় (চকপাড়া) এলাকায় ভাগনি হত্যার দায়ে মামা মো. রিপন মিয়াকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন গাজীপুরের একটি আদালত। একই মামলায় আরও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।  

রায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্তকে ১০ হাজার টাকা এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

 

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- শ্রীপুর উপজেলার চকপাড়া এলাকার হাসমত আলী ওরফে হাশেমের ছেলে মো. রিপন মিয়া (৩৩)।  

আর বগুড়া সদর থানার ভাটকান্দি এলাকার মো. রহিমের ছেলে রবিউল ইসলাম (২২) ও শেরপুর ঝিনাইগাতী থানার দিঘীরপাড় এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে মো. মোজাফফরকে (২১) যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

আদালত সূত্রে জানা যায়, রিপনের বোনের সঙ্গে তার প্রথম স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর ফের অন্যত্র বিয়ে হয়। তবে আগের সংসারে জন্ম নেওয়া শিশু নাজমীন (৭) তার নানার বাড়িতেই থাকতো।  

প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্যে ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর রাতে ঘুমন্ত শিশুটিকে গলা কেটে হত্যা করে উঠানে মরদেহ ফেলে যায় রিপন।  

প্রতিবেশী আজগর আলীর সঙ্গে রিপনদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। সেই ক্ষোভ থেকেই সন্দেহভাজন হিসেবে আজগর আলীর দুই ছেলে আব্দুল করিম (৩০) ও আব্দুল কাদির (৩৮) এবং মৃত একিন আলীর ছেলে আব্দুল মোতালেবের (৪২) বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন নিহতের মা।  

কিন্তু পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে নাজমীনকে আব্দুল করিম, আব্দুল কাদির ও আব্দুল মোতালেব খুন করেননি। তাদের ফাঁসানোর জন্য নিজের ভাগনিকে খুন করে এ নাটক সাজিয়েছে রিপন।  

এরপর রিপনসহ তার দুই সহযোগীকে আটক করে পুলিশ। একই সঙ্গে আদালতেও তাদের অভিযুক্ত করে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।  

রায়ে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃকতা না থাকায় করিম, কাদির ও মোতালেবকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।  

রাষ্টপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হারিছ উদ্দিন আহম্মদ। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শাহ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুজ্জমান আকন (তমিজ)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭     
আরএস/এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ট্রাইব্যুনাল এর সর্বশেষ