ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

বর্ষায়ও পর্যটক টানছে কুয়াকাটা

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
বর্ষায়ও পর্যটক টানছে কুয়াকাটা এ বর্ষায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে এসেছেন বহু পর্যটক। ছবি: বাংলানিউজ

কুয়াকাটা থেকে ফিরে: সৈকতজুড়ে তপ্ত রোদ। থেমে থেমে সাগরের গর্জন আর নির্মল বাতাস। তাপদাহের  হাত থেকে রক্ষা পেতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। কেউ গোসল করছেন, কেউ হেঁটে বেড়াচ্ছেন কেউবা ব্যস্ত সেলফি তোলায়। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকদের যেন ঢল নেমেছে সৈকতে। বর্ষায়ও কমেনি পর্যটকদের আনাগোনা। এ চিত্র সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার।

সাগরের পাড় ভেঙে যাওয়ার কারণে ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে সৈকত। তবুও কুয়াকাটার আকর্ষণ একটুও কমেনি পর্যটকদের কাছে।

একটু বিনোদনের আশায় তারা ছুটে আসছেন সাগর পাড়ে।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি ওই এলাকায় রয়েছে দর্শনীয় আরও বেশি কিছু স্থান। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ঝাউবন, গঙ্গামতির চর, কাউয়ার চর, বৌদ্ধ মন্দির, মিষ্টি পানির কুয়া, কুয়াকাটার কুয়া, লেবুর বন, তিন নদীর মোহনা, ঝিনুক লেক, রাখাইন পল্লী, শুটকি পল্লি ও রাখাইন মার্কেট।

বর্ষার চেয়ে শীতের মৌসুমে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বেশি থাকে। তবে, এ বর্ষার সময়েও পর্যটক সংখ্যা একেবারে কম নয়। বিনোদনপ্রিয় মানুষের আগমনে মুখরিত কুয়াকাটা সৈকত।

বরিশাল শহর থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরের জনপদ কুয়াকাটা নিয়ে পর্যটকদের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। এ বর্ষায়ও তারা ছুটে আসছেন বিভিন্ন জেলা থেকে।

সৈকতে ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা সৌমিক বাংলানিউজকে বলেন, রাজধানীতে বৃষ্টি হলেও গরম কমেনি। ব্যস্ততার মাঝে কোথাও যাওয়া হচ্ছিল না অনেকদিন। তাই সাগর পাড়ের রোদ ও নির্মল বায়ুতে মন জুড়াতে এখানে আসা।

কয়েকজন হোটেল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতের চেয়ে এ মৌসুমে পর্যটকদের আনাগোনা কম থাকে। তবে, কম হলেও এবারে ব্যবসা সন্তোষজনক।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।