ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

সবুজায়ন ছাড়া সড়ক নেই চীনে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
সবুজায়ন ছাড়া সড়ক নেই চীনে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চীনের গোয়াংজু সি‌টি থেকে: ‌গোয়াংজু, সাংহাই, ওয়েনজু ও সেনজেন- চীনের এ চার এয়ারপোর্ট ধরে পূর্ব চীন থেকে দক্ষিণে ঘুরে‌ছি। সঙ্গে সব সময়ই ছিলো সবুজের পরশ। চীনে এসেও বাংলাদেশের গ্রামের মতো বনানী পথে ঘুরবো এমনটা ভাবনায় ছিলো না। আকাশ সমান উঁচু ভবন যেভাবে বা‌ড়িয়েছে চীন তেমন বা‌ড়িয়েছে তার সবুজায়ন- এটা খোলা চোখে দৃশ্যমান।

‌সেনজেনের ব্যস্ততম মার্কেট এলাকায় ‘ড্রোন ফ্লাইট’ দিয়েও দেখা গেল এ‌দিক-ও‌দিক গাছগাছা‌লি। ড্রোনের ক্যামেরা যে‌দিকে যাচ্ছে সে‌দিকেই গাছের সা‌রি।

গুগলের তথ্য বলছে, চীন বৃক্ষরোপণ করে যতো সব বনাঞ্চল সৃষ্টি করেছে তার আয়তন বিশ্বের যেকোনো দেশের কৃত্রিম বনাঞ্চলের চেয়ে বেশি। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমসেনজেন বিমানবন্দর থেকে মূল শহরের দিকে যাওয়ার পথে রাস্তার দু’পাশের বৃক্ষরা‌জিতে চোখ আটকে যায়। রাস্তার দু’পাশের গাছের সবুজে আড়াল পড়তে থাকে সেনজেনের ১০০ তলা ছা‌ড়িয়ে যাওয়া ভবনগুলো। এমন‌কি ফ্লাইওভারের ওপরও গাছ লা‌গিয়ে সবুজের পরশ বি‌ছিয়ে দিয়েছে তারা।

সবুজের এমন ছড়াছড়ির মধ্যেই সেনজেন সি‌টিতে প্রবেশ। বড় বড় গাছ আর সবুজ ঘাসের লন।

বাংলাদেশের বিমানবন্দর বনানী সড়কে তার‌ চেয়ে বেশি সবুজায়নের রূপরেখা করে কাজ চলছে। নিজস্ব অর্থে প্রায় ১০ লাখের কাছাকা‌ছি গাছ বিমানবন্দর বনানী ছয় কিলোমিটারে লাগিয়েছে ‘ভিনাইল ওয়াল্ড’। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমচীনের রাস্তার দু’পাশে গাছগাছড়া, ফুল আর ঘাস লাগানোর কৌশলটাও বেশ সুন্দর এবং বৈজ্ঞা‌নিক। গাছের যত্ন কতোটা কিভাবে নিতে হয় তা বাংলাদেশ অনুকরণ করতে পারে চীনকে। শুধু রাস্তার পাশে গাছ লা‌গিয়ে দা‌য়িত্ব শেষ করে না চীন। গাছের উচ্চতা সমান রাখা, কোন গাছের পর গাছ লাগবে প‌রিকল্পনা করে তারা সবুজায়ন করে।

চীনের সড়কপথের পাশে কোথায় চারখুঁটি ছাড়া গাছ নেই। গাছ সোজা রাখার জন্য লোহা বা বাঁশ দিয়ে চারপাশে ঠেস লাগিয়ে রাখা হয় যাতে গাছ এ‌দিক-ও‌দিক হেলে না যায়। আবার কিছু গাছের পাটের রশি বেধে দিয়ে মুড়িয়ে দেয় যাতে গাছের পেট মোটা না হয়। তাদের সড়কে একের পর বনসাই দেখা গেছে। সড়কের পাশে এমন কোনো গাছ লাগানো নেই যে গাছ সড়কের ওপর এসে পড়ে যাচ্ছে। ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে যখন বনসাই লাগানো শুরু হয় তখন সি‌টি করাপোরেশনের বি‌ভিন্ন পথে থাকা নগর স্থপ‌তিরা আপ‌ত্তি তোলেন। চীনের সড়কপথ দেখলে তাদের সে আপ‌ত্তি দূরে পালাবে। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএখানে কোনো সড়কপথ দে‌খি‌নি যেখ‍ানে বনসাই শোভা পায়নি। বনসাই কোনো গাছ নয়, আসলে গাছকে নি‌র্দিষ্ট কাঠামোতে বছরের পর বছর রাখা। এ কাজটাই চীনারা সবচেয়ে বে‌শি করেছে তাদের সড়কপথে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এসএ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।