ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

মেঘের ওপর বসবাস, মেঘের সঙ্গে খেলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
মেঘের ওপর বসবাস, মেঘের সঙ্গে খেলা মেঘের রাজ্য সাজেক

সাজেক, রুইলুই পাড়া (রাঙামাটি) থেকে: সকালের আলো ফুটতে খুব বেশি দেরি নেই। সন্ধ্যায় দুটো পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে চালনের মতো বড় যে চাঁদটা উঠেছিলো, সেটি এখন মাথার উপর। আকাশের কোটি তারার মধ্য থেকে হিমেল হাওয়ায় তখনো খসে পড়ছে দু’একটি। সব মিলিয়ে বেশ রোম্যান্টিক পরিবেশ। আর সারাটাদিন চোখের সামনে যে সবুজ পাহাড় ছিলো, তা এখন শুধুই মেঘের রাজ্য।

ভোর হওয়ার আগে ঠিক এমনটাই দেখা যায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার রুইলুই পাড়ার পর্যটন এলাকা সাজেক ভ্যালিতে। পেঁজা তুলোর মতো নরম মেঘগুলো নিজ থেকেই যেন ছুঁয়ে দিয়ে যায় এখানকার মানুষকে।

 

দিনের বেলা যেখানে পাহাড়ের সবুজ অরণ্য, রাতের গভীরতার সঙ্গে সঙ্গেই সে অরণ্য আবার পরিণত হতে থাকে মেঘের সমুদ্রে। বাড়তে থাকে তার তীব্রতা। যা দেখলে যে কারো ইচ্ছে হবে মেঘের সমুদ্রে একটিবারের জন্য হলেও সাঁতার কাটার। চাইলেই যেন পূরণ করা যাবে হাত দিয়ে মেঘ স্পর্শের ইচ্ছেটা।

ভোরের প্রথম সূর্যকখনো প্রজাপতি, কখনো তেজী ঘোড়া, রূপকথার রাজপুত্র আর রাজকুমারীসহ হাজারো সাজে মেঘেরা এসে ধরা দেয় এ চূড়ায়। যেন মেঘের উপরেই ঘরবাড়ি। এছাড়া বাইরে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তাটাও পয়ে চলে হতে পারে মেঘ সৌন্দর্যের অনন্য সে রূপ দেখার সাক্ষী।

কথা হয় ঢাকা থেকে সাজেকে ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী হাদিদ ইবনে জাদিদের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, মনোরম এক জায়গা। কংলক পাহাড়ে মেঘ এসে যেন আমাদের সবাইকে ভিজিয়ে দিয়ে গেলো।  

মেঘের রাজ্য সাজেকপর্যটন এলাকা রুইলুই পাড়ার সাজেক ভ্যালির প্রায় প্রতিটি রিসোর্টেই রয়েছে মেঘের এ সৌন্দর্য উপভোগ করার আলাদা ব্যবস্থা। তবে কেউ চাইলে রিসোর্টগুলোর একটু দূরেই অবস্থিত কংলক পাহাড়ে গিয়েও উপভোগ করতে পারে এ মুগ্ধতা। মেঘেদের অবারিত আনাগোনার সঙ্গে এ পাহাড় থেকে দেখা যাবে পাহাড় ভেদ করে সূর্য ওঠার দৃশ্যও। উপরন্তু একটুখানি হাঁটা পথে পাওয়া যাবে পাহাড় ট্রেকিংয়ের আনন্দ।

***রাঙা মাটির দ্যাশে যা...

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।