ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

পাহাড়ে জমে মেঘেদের আড্ডা

টিটু দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৬
পাহাড়ে জমে মেঘেদের আড্ডা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের কলাগাঁও থেকে ফিরে: মেঘালয়ে শুধু যেন মেঘেদের খেলা। মেঘালয়ের পাহাড়ের উপর দিয়ে অবিরত ঘোরাফেরা করে সাদা-কালো মেঘেরা।

এসব সাদা-কালো মেঘ থেকে হঠাৎ করেই যখন তখন অঝোর ধারায় বৃষ্টি নেমে ভিজিয়ে দেয় ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা। আর এ দৃশ্য কাগজের ছবিকেও যেন হার মানায়।  

মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী ভারতের শিলং। আর এই মেঘলায়ের আংশিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কলাগাঁও থেকে।

সরেজমিন দেখা যায়, কলাগাঁও গ্রাম পার হলেই ভারতের উঁচু উঁচু পাহাড় ও কালো কালো বিশাল আকারের পাথর। আর এ পাহাড়ের উপর দিয়ে অবিরত ঘুরাঘুরি করছে মেঘেরা। এছাড়া পাহাড়ে রয়েছে অসংখ্য গাছ-পালা ও পাকা সড়ক। সেই সড়ক দিয়ে মাঝে মাঝে ছুটে যাচ্ছে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার। এভাবে সাতটি পাহাড় পার হলেই ভারতের শিলং শহর। এসব পাহাড়ে রয়েছে খাসিয়া ও জয়ন্তিয়া আদীবাসীদের বসবাস।  
   
কলাগাঁও গ্রামের ১শ’ গজ দূরে দিয়ে দেখা যায়, ভারত-বাংলাদেশের একটি পিলার। আর এ সীমান্ত পিলারের প্রায় ৬০ গজ সামনে ভারতের উঁচু উঁচু পাহাড়। আষাঢ় ও শ্রাবণের দিনে যে কোনো সময় বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে ভারতের মেঘালয়ে পাহাড়ের গাছ-পালা ও বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা।

এদিকে, বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত পিলার পেরিয়ে কয়লা ও পাথর কুড়িয়ে আনছে কলাগাঁও গ্রামের অসংখ্য নারী-পুরুষ ও শিশুরা।  

কলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রুবেল মিয়া, মুজিবুর রহমান, সালেক মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের গ্রামটি পার হলেই ভারতের অংশ শুরু। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে পাহাড়ের উপর দিয়ে মেঘেদের খেলা দেখতে অনেক ভালো লাগে। এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেমন ভাল লাগে তেমন সমস্যাও রয়েছে। আর তা হলো আষাঢ়-শ্রাবণ এ দুই মাস আমাদের এলাকায় বেশিরভাগ সময়ই বৃষ্টি থাকে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৬ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।