ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

বেইজিং এর সামার প্যালেসে কিছুক্ষণ

মাহমুদ খায়রুল, কুয়ালালামপুর করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৫
বেইজিং এর সামার প্যালেসে কিছুক্ষণ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সামার প্যালেস (চীন) থেকে ফিরে: চীনের মহাপ্রাচীর ও নিষিদ্ধ নগরীর পর গন্তব্য ঠিক করা হল সামার প্যালেস। গ্রীষ্মকালে তৎকালীন রাজাদের অবসর যাপনের জন্য প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

বেইজিং শহরের একদম পশ্চিমে এই দর্শনীয় স্থান।

সামার প্যালেস তৈরি করা হয়েছে পাহাড়ের উপর। ঘরবাড়িগুলো বিভিন্ন উচ্চতায় গড়া। এলাকা জুড়ে গাছগাছালি। এক পাশে বিশাল লেক। লেকের মাঝে ছোট একটি দ্বীপ। সেখানেও একটা বৌদ্ধ মন্দির।

এখানকার বাড়িঘরগুলো সাজানো হয়েছে দামি দামি সব পাথর আর ইট দিয়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, যখন বাইরের দেশের ব্যবসায়ীরা রাজার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন তখন তাদের এখানে থাকতে দেওয়া হত।

ছোট ছোট এক দরজা থেকে অন্য দরজায় প্রবেশ করতে হয়। মন্দিরের সংখ্যা অনেক বেশি। সবগুলোই অনেক উঁচুতে। প্রায় ২০০-৩০০ সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় সবগুলোতেই।

এলাকাটা একটা পার্কের মত দেখতে। বয়স্ক অনেককে দেখা গেল জোরে গান ছেড়ে ব্যায়াম করছেন। অনেকেই করছেন জগিং।   বিশাল বিশাল ঘরগুলোর সামনে বিভিন্ন প্রতিকৃতির মূর্তি। এর মধ্যে ড্রাগন, ময়ূর, সিংহই নজরে পড়লো বেশি।

কয়েক হাজার বছরের পুরনো গাছের বাকলও সংরক্ষিত আছে এখানে। মেঝেগুলো বড় বড় পাথরের টাইলসের। কোন কোনটায় খোদাই করে দেবতার প্রতিকৃতি।

সুশৃঙ্খলভাবে মানুষ ঘুরে ঘুরে স্থানগুলো দেখছে। অনেকে কৌতূহলে মাটি ছুঁয়ে দেখছে, দেয়াল স্পর্শ করছে। সাইনবোর্ড থেকে ইতিহাস পড়ে জেনে নিচ্ছে। পুরো আবহাওয়াটাই উৎসবমুখর।

বেইজিং শহর যেনো প্রাচীনত্ব ও আধুনিকতার একটি অপূর্ব সংমিশ্রণ যা অন্য শহরে পাওয়া বিরলই বটে।

পরবর্তী গন্তব্য বেইজিং অলিম্পিক স্টেডিয়াম ‘বার্ডস নেস্ট’।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৫
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।