ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

পর্যটক আকৃষ্ট করতে প্রিভিলেজড কার্ড

মাহবুব আলম, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৫
পর্যটক আকৃষ্ট করতে প্রিভিলেজড কার্ড ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পর্যটকদের সুবিধার্থে প্রিভিলেজড কার্ড চালু করেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ কার্ড চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।



সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হোটেল-মোটেলগুলোতে পর্যটকদের আকৃষ্ট এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে পর্যটনে মানুষের আগ্রহ বাড়বে।

পর্যটন করপোরেশন সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারিতে পর্যটন করপোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে প্রিভিলেজড কার্ড চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইস্যুর তারিখ থেকে এ কার্ডের মেয়াদ হবে পরবর্তী এক বছর।

এই কার্ড দিয়ে একজন ব্যক্তি দেশের যে কোনো এলাকায় হোটেল-মোটেলের তিনটি আবাসিক কক্ষের ওপর ২৫ শতাংশ ছাড় পাবেন।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক (বিপণন) পারভেজ আহমেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, দেশের ভিআইপি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্যান্যরা ৩০০ টাকা দিয়ে একটি প্রিভিলেজড কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। একবছর মেয়াদি কার্ড শেষ হলে পুনরায় নবায়ন করা যাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৭২ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ১৪৩ নম্বর আদেশে জাতীয় পর্যটন সংস্থা (এনটিও) বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বাপক) প্রতিষ্ঠিত হয়।

এর পরের বছর বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যক্রম শুরু করে স্বায়ত্বশাসিত এ প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাপক দেশকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসাবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ করেছে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট।

এতে পর্যটনের প্রসারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও অর্জিত হয়েছে। হয়েছে কর্মসংস্থানও।

পারভেজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, প্রায় দেশের প্রতিটি পর্যটন গন্তব্যে হোটেল-মোটেল নির্মাণ করেছে বাপক। এমনকি পশ্চাতপদ এলাকাতেও রিসোর্ট নির্মাণ করার সাহস দেখিয়েছে পর্যটন করপোরেশন।

‘পশ্চাদপদ এলাকায় রিসোর্ট নির্মাণের পর পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ে এবং সেখানে বিভিন্ন বেসরকারি উদ্যোক্তাও এগিয়ে আসেন। ‌ এ দু’য়ের সম্মিলনে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের পর্যটন শিল্প,’ বলেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে সরকার ভিজিট বাংলাদেশ ইয়ার অর্থাৎ বাংলাদেশ পর্যটন বর্ষ ২০১৬ পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশকে গ্রহণযোগ্য, নিরাপদ ও আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে এ পদক্ষেপ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এসময়ে প্রায় ১০ লাখ বিদেশি পর্যটকের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এরইমধ্যে ‘পর্যটন বর্ষ’ উদযাপনের জন্য ২০০ কোটি বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে এরইমধ্যে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ স্পটে যোগাযোগ ও আবাসিক অবকাঠামানো উন্নয়নে নানা পরিকল্পনাও নিয়েছে পর্যটন করপোরেশন।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী বলেন, ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করা হলেও আমাদের পরিকল্পনা আছে দীর্ঘমেয়াদী।

‘ক্রমান্বয়ে আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন গন্তব্যকে পর্যটক বান্ধব ও নিরাপদ কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে চাই,’ বলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৫
এমএ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।