ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনে যাত্রা শুরু করলো কর্ণফুলী এক্সপ্রেস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২১
কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনে যাত্রা শুরু করলো কর্ণফুলী এক্সপ্রেস

ঢাকা: কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনে দেশের প্রথম সমুদ্রগামী জাহাজ এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস সরাসরি যাত্রা শুরু করেছে।  

শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটায় কক্সবাজারের বিমানবন্দর সড়কের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজটি যাত্রা শুরু করে দুপুর ১টায় সেন্টমার্টিন পৌঁছায়।

 সেন্টমার্টিনে আড়াই ঘণ্টা যাত্রা বিরতির পর বিকেল সাড়ে ৩টায় কক্সবাজারের উদ্দেশে রওয়ানা দেয় বিলাসবহুল এ জাহাজ।

পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মতে, কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের দাবি দীর্ঘদিনের। কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের উদ্যোগে ও পরিচালনায় অবশেষে এ দাবি পূরণ হয়। অন্যদিকে আগামী ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনাল থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এ কোম্পানির আরেক বিলাসবহুল ক্রুজশিপ ‘এমভি বে-ওয়ান’। এটাও চলতি পর্যটন মৌসুমে চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিনে নিয়মিত চলাচল করবে। চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটেও সমুদ্রগামী বিলাসবহুল কোনো জাহাজের যাত্রা এটাই প্রথম।  

বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প থেকে এতদিন পিছিয়ে থাকলেও যুগান্তকারী কিছু উদ্যোগের কারণে পর্যটনের সম্ভাবনাগুলো ক্রমশ এখন ডানা মেলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এ শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও উদ্যোক্তা প্রকৌশলী এম এ রশিদ। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন সমুদ্র ভ্রমণে বিলাসবহুল জাহাজের যাত্রার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন এ গুনী উদ্যোক্তা তথা শিল্পপতি।

কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ জানান, এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেসকে নিজস্ব ডকইয়ার্ডে একটি অত্যাধুনিক বিলাসবহুল জাহাজ হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।  প্রায় ৫৫ মিটার দৈর্ঘের ও ১১ মিটার প্রশস্ত এ নৌযানে মেইন প্রপালেশন ইঞ্জিন- দু’টি। আমেরিকার বিখ্যাত কামিন্স ব্র্যান্ডের এ ইঞ্জিনের একেকটির ক্ষমতা প্রায় ৬০০ বিএইচপি। জাহাজটি ঘণ্টায় প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারে। ১৭টি ভিআইপি কেবিন সমৃদ্ধ নৌযানটিতে তিন ক্যাটাগরির প্রায় ৫০০ আসন রয়েছে। রয়েছে কনফারেন্স রুম, ডাইনিং স্পেস, সি-ভিউ ব্যালকনিসহ আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।

পাহাড় ও সমুদ্র বরাবরই টানে পর্যটকদের। সাগরের বিশালতার কাছে গেলেই প্রকৃতি সবাইকে আপন করে নেয়। তাই বিশ্বের বৃহত্তম সৈকত কক্সবাজারের গুরুত্ব অন্যতম। এদিকে কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে সাগরবক্ষের ক্ষুদ্রাকৃতির নয়নাভিরাম প্রবাল দ্বীপ- সেন্টমার্টিন। যা বিশ্বের অন্যতম সুন্দর প্রবালদ্বীপ হিসেবে পরিচিত। ফলে পর্যটকদের কাছে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনের গুরুত্ব বরাবরই অসিম। কিন্তু কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করতে পর্যটকদের পাড়ি দিতে হতো টেকনাফের এবরোথেবরো বিরক্তিকর দীর্ঘ স্থল পথ। সম্প্রতি এম ভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস সেই বোরিং জার্নিকে নীল সমুদ্রের নান্দনিক ভ্রমণে রূপ দিয়েছে। নিঃসন্দেহে যা এক বিরল সুযোগ ও সম্ভাবনার পদধ্বনী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২১
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।