ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

শিথিল নিষেধাজ্ঞা, কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২০
শিথিল নিষেধাজ্ঞা, কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

কক্সবাজার: করোনা মহামারির কারণে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও স্বরূপে ফিরতে শুরু করেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।

নজিরবিহীন নির্জনতা ভেঙে ঈদুল আজহার পর থেকে ফের পর্যটকদের আগমনে মুখর হয়ে উঠছে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত।

যদিও সৈকত ভ্রমণে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা এখনও তুলে নেওয়া হয়নি।

তবে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, চলতি আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হবে সমুদ্র সৈকতসহ সকল বিনোদন কেন্দ্র। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সৈকতে ভ্রমণে আসা বেশিরভাগ পর্যটক স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।

পর্যটকেরা বলছেন, করোনা মহামারিতে ঘরবন্দী থাকতে থাকতে আর ভালো লাগছে না। অনেকে বিষন্ন। তাই একটু বিনোদনের জন্য সৈকত ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের নবাগত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, মূলত ঈদের পর থেকে কক্সবাজারে কিছু কিছু পর্যটক আসা শুরু করেছেন। তারা সৈকতেও নামছেন। তবে টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে বার বার সচেতন করা হচ্ছে। সৈকতে মাইকিং করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এতদিন সৈকত ভ্রমণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা মানা হলেও বর্তমানে একটু শিথিলভাবে দেখা হচ্ছে।

বুধবার (৫ আগস্ট) সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, পর্যটকরা যে যার মতো আনন্দ উপভোগ করছেন। সমুদ্র স্নান, বালিয়াড়িতে দৌড়ঝাপ, সূর্যাস্ত অবলোকনসহ নানা আনন্দমুখর সময় পার করছেন তারা।

ঢাকার উত্তরা থেকে আসা আরেফা ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঘরে থাকতে থাকতে আর ভালো লাগছিল না। তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে দীর্ঘদিনের ক্লান্তি দূর হলো।

চট্টগ্রাম থেকে আসা মহিউদ্দিন বলেন, আমরা কর্মজীবী মানুষ। অনেক দিন ঘরবন্দী ছিলাম। তাই একটু বেড়াতে আসা। তবে সামাজিক দূরত্ব মেনেই আমরা ভ্রমণ করছি।

মায়ের সঙ্গে সৈকত ভ্রমণে আসা শিশু তামহিয়া বলে, কক্সবাজার অনেক সুন্দর। সমুদ্র আরও বেশি সুন্দর। আমি সমুদ্রে গোসল করেছি, অনেক মজা পেয়েছি।

চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে শর্ত সাপেক্ষে সীমিত আকারে পর্যটন স্পট খুলে দেওয়ার কথা বলছে জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে বুধবার রাতে জুম কনফারেন্সে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একটি সভা হয়েছে। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্যারও ছিলেন। সভায় পর্যটন শিল্প সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ খুলে দেওয়ার জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশ এবং এ কমিটির প্রণীত কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সীমিত পরিসরে পর্যটন স্পট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শর্ত থাকবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। স্বাস্থবিধি কঠোরভাবে মেনে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তা খুলতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২০
এসবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।