ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

ঈদে ঘুরে আসুন সবুজ পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৯
 ঈদে ঘুরে আসুন সবুজ পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি ঈদে ঘুরে আসুন সবুজ পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি

রাঙামাটি: ঈদের টানা ছুটিতে কোথায় যাবেন ভাবছেন? প্রকৃতির সবুজ অরণ্য ও পাহাড়- হ্রদের মিতালী এমন জায়গা খুঁজছেন? তাহলে চলে আসুন পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি। সবুজ পাহাড় আর কাপ্তাই হ্রদ মিলেমিশে একাকার করেছে বৈচিত্র্যের রাঙামাটিকে। বহু জাতি স্বত্তার বসবাস এ অঞ্চলে। এমন চিত্র অন্য কোথাও দেখা যায় না। যদি নৈস্বর্গ সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের রূপ অবলোকন করতে চান তাহলে ঘুরতে আসতে পারেন রাঙামাটি।
 

রাঙামাটিতে পর্যটকদের জন্য দেখার যা আছে:

ঝুলন্ত সেতু: বিনোদনের জন্য পর্যটন কর্পোরেশন ১৯৮৫ সালে রাঙামাটি শহরে নির্মাণ করেছে ঝুলন্ত সেতু। এ সেতুটিকে ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ বলা হয়।

সেতুটির জন্য দেশ এবং দেশের বাইরে আলাদা পরিচিতি পেয়েছে রাঙামাটি। সেতুর আশপাশেই রয়েছে মোটেল ও কটেজ। তাই ঘুরতে আসলে থাকার জন্য কোনো ভয় নেই। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দমত রুম বুকিং নিতে পারেন। ব্রিজ
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জাদুঘর: শহরের ভেদভেদী এলাকায় গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জাদুঘর। এ যাদুঘরে ঢুকলে আর বের হতে ইচ্ছে হবে না পর্যটকদের। হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করবে এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের বৈচিত্র্যের মাঝে। তাছাড়া, জাদুঘরের আশপাশের সৌন্দর্য আলাদাভাবে পুলকিত করবে আপনাকে।

রাঙামাটি মিনি চিড়িয়াখানা: শহরের রাঙাপানি এলাকায় প্রকৃতির অপরূপ পরিবেশে জেলা পরিষদের অর্থায়নে গড়ে উঠেছে মিনি চিড়িয়াখানা। বানর, ভল্লুক, অজগর, সজারু, হরিণ বনমোরগসহ অনেক প্রাণী রয়েছে এ চিড়িয়াখানায়।  

বনভান্তের বৌদ্ধ মন্দির: শহরের রাজবাড়ি এলাকায় দক্ষিণ এশিয়ার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থ স্থান বনভান্তের বৌদ্ধ মন্দিরটিও ঘুরে দেখতে পারেন পর্যটকরা। বিশাল আকৃতির মূর্তি, প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনাকে আলাদা প্রশান্তি দেবে।  

রাঙামাটি-কাপ্তাই সংযোগ সড়ক: রাঙামাটি-কাপ্তাই যোগাযোগের জন্য রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি-রাঙাপানি সড়কের কাছে একটি বিকল্প সড়ক রয়েছে। বর্তমানে এ সড়কটি পর্যটক বান্ধব সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কের একপাশে বিশাল পাহাড় এবং অন্যপাশে কাপ্তাই হ্রদ মিলেমিশে একাকার। মন ভাল করার জন্য এরকম পরিবেশের কোনো তুলনাই চলে না। প্রতিদিন শতশত পর্যটক ভিড় জমায় এ সড়কে। আর পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে স্থানীয়রা গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন হোটেল। তাই এখানে ঘুরতে এলে ভুঁড়ি ভোজনের কাজটা নির্দিধায় সেরে ফেলতে পারবেন। তবে সাবধান, সন্ধ্যা নামার আগেই এখান থেকে চলে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ সন্ধ্যা নামলেই এ সড়ক দিয়ে বন্যহাতি চলাচল করে। ঝরনাসুবলং ঝর্ণা: রাঙামাটির বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নে রয়েছে সুবলং ঝর্ণা। এ ঝর্ণা দেখতে হলে আপনাকে ২০ টাকা প্রবেশ ফি দিতে হবে। শহরের পর্যটন এলাকা থেকে ইঞ্জিনচালিত বোট ভাড়া করে সেখানে যেতে হবে। এছাড়া ভুঁড়ি ভোজনের জন্য কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় গড়ে উঠেছে পেদা টিং টিং, চাংপাই রেস্তোরা, এবং টুকটুক ইকো ভিলেজ। এ হোটেলগুলোতে প্রাকৃতিক পরিবেশে তরতাজা খাবার পরিবেশন করা হয়।  

যেভাবে রাঙামাটি যাবেন: ঢাকার কমলাপুর, ফকিরাপুল, টিটি পাড়া, কলাবাগান এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে গেলে ঢাকা-রাঙামাটিগামী বাস পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে নিজেদের পছন্দের বাসে নির্ধারিত ভাড়া মিটিয়ে চলে আসতে পারবেন বৈচিত্র্যের শহর রাঙামাটিতে। ..থাকা-খাওয়া: রাত্রী যাপনের জন্য রাঙামাটি শহরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- মোটেল জর্জ, হোটেল ইন্টারন্যাশনাল সুফিয়া, পর্যটন মোটেল, হোটেল নিডস, প্রিন্স হোটেল এবং গ্রিন ক্যাসেল। হোটেলে আগে থেকে বুকিং করে রাখলে ভাল। বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগের ঠিকানা হোটেলগুলোর ওয়েবসাইটেই পাবেন। খাওয়ার জন্য এসব আবাসিক হোটেলের সঙ্গে এবং আশপাশে রয়েছে উন্নতমানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।