ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ঢল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ঢল শীতের আগমনের সাথে সাথে কুয়াকাটা সৈকতে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। ছবি: ছোটন সাহা

কুয়াকাটা থেকে ফিরে: শীতের আবেশ বাড়ার সাথে সাথে পর্যটকমুখর হয়ে উঠেছে  ‘সাগরকন্যা’ বলে খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। এ মৌসুমে ছুটির দিন ছাড়াও সপ্তাহের প্রতিদিনই সৈকতে পর্যটকদের ঢল নামছে। সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য দেখে উত্তাল ঢেউয়ের তালে মেতে উঠছেন পর্যটকরা। সৈকতে নিরাপত্তাও পর্যাপ্ত।

সাগরপাড়ে কেউ ছবি তুলছেন, কেউ গোসল করছেন, কেউ নাচ বা গান করছেন, কেউবা আবার প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আড্ডায়ও মেতে উঠছেন কেউ কেউ।

পর্যটকদের আগমনকে ঘিরে শুধু সাগরসৈকত নয়, জমজমাট হয়ে উঠেছে হোটেল, মোটেল এবং রাখাইন পল্লীর দোকানগুলো। সেখানে উপচেপড়া ভিড়।

স্থানীয়রা জানালেন, বছরের ৯ মাস প্রায় পর্যটকশূন্য থাকলেও ডিসেম্বর মাসে পর্যটকদের আগমন থাকে বেশি। এমাসেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও শহরাঞ্চল থেকে ভ্রমণ-বিনোদনের আশায় ছুটে আসেন পর্যটকরা।

কুয়াকাটা সৈকতের একটি নয়নাভিরাম দৃশ্য।  ছবি: ছোটন সাহাকুয়াকাটার মিস্ত্রীপাড়া বৌদ্ধমন্দির, লেম্বুর চর, রাখাইন পল্লী, গঙ্গামতির চর, ঝাউবাগান, কুয়াকাটার কুয়া, সুটকি পল্লী, রাখাইন মার্কেট, শামুক-ঝিনুক মার্কেট, সীমা বৌদ্ধবিহার, ইলিশ পাকর্, রাধাকৃষ্ণ মন্দির, ফাতরার বন, সোনার চর উল্লেখ্যযোগ্য পর্যটন স্পট। এসব স্পটে এখন পর্যটকদের ভিড় অনেক।

জানতে চাইলে পর্যটন বিশেষজ্ঞ শংকর লাল দাস জানান, পর্যটনে চেয়ে আগ্রহ মানুষের আগের বেড়েছে। মানুষ এখন আর নিদিষ্ট একটি স্থানে বসে থাকে না। মানুষের ভ্রমণের পিপাসা বেড়েছে, তাই সময় পেলেই ছুটে যায় বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে। সেই সুবাদে কুয়াকাটাতেও পর্যটক বেড়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আশেপাশের  সোনার চর, চর হেয়ার মৌডুবি, জাহাজমারাসহ যেসব প্রকৃতিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে, সেগুলোকেও তুলে ধরার পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রচারের আলোয় আনতে হবে।

হোটেল সৈকতের মালিক মো: জিয়াউর রহমান বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শীত মৌসুমে পর্যটকদের চাপ অনেক বেশি থাকে। পর্যটকদের আগমনে প্রত্যেক হোটেলেই এখন কানায় কানায় পূর্ণ।

এদিকে পর্যটকদের ভিড় বাড়াকে মওকা হিসেবে লুফে নিয়েছে হোটেল ব্যবসায়ীরা। তারা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে দুই থেকে তিন গুণ। এতে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় পড়ছেন পর্যটকরা।

গত দু’দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না। তবে সূর্যাস্ত দেখা যাচ্ছে অনায়াসে।

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর ট্রাভেল ব্যবসায়ী আবুল হোসেন রাজু জানান, ডিসেম্বরে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। আমরা গাইডসহ স্বল্প খরচে বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকদের পাঠাচ্ছি। কুয়াকাটায় এখন সুযোগ সুবিধা অনেক বেড়েছে বলে তারা অনেক খুশি।

পর্যটকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং টুরিস্ট পুলিশের যথাযথ টহল বজায় থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বা এরকম কোনো খবরও পাওয়া যায়নি।            

কুয়াকাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা বলেন, কুয়াকাটায় পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারেন সেজন্য আমরাও সজাগ দৃষ্টি রাখছি, খোঁজ খবর রাখছি।
বাংলাদেশ সময়:১২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।