ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

ঈদের ছুটিতে জমে উঠেছে রামসাগর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
ঈদের ছুটিতে জমে উঠেছে  রামসাগর প্রাকৃতিক সৌন্দের্যের লীলা ভূমি খ্যাত দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যান- ছবি:বাংলানিউজ

দিনাজপুর: প্রাকৃতিক সৌন্দের্যের লীলা ভূমি খ্যাত দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানে ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছ। অন্যান্য দিনগুলোতে গড়ে দর্শনার্থীদের সংখ্যা এক থেকে দেড়শ হয়ে থাকে।

ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। চলতি ঈদের ছুটিতে এক দিনেই প্রায় ১২ হাজারে দাড়িয়েছে।

যা গত কয়েক ঈদের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।

সোমবার (২৬ জুন) সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ১১ হাজার ৯শ’ ৪২ জন দর্শনার্থী টিকিট কেটে রামসাগরে প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চার হাজার দর্শনার্থী এখানে এসেছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। |
প্রাকৃতিক সৌন্দের্যের লীলা ভূমি খ্যাত দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যান- ছবি:বাংলানিউজ
দিনাজপুর রামসাগর প্রবেশ টিকিট ঘর সূত্রে জানা যায়, রামসাগর জাতীয় উদ্যানে বছর জুড়ে প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড়শ জন দর্শনার্থী হয়। বিশেষ দিনগুলোতে এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ দিনগুলোর মধ্যে ঈদের ছুটির দিনগুলোও পড়ে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবার ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। সোমবার ছিল প্রায় ১২ হাজার দর্শনার্থী মঙ্গলবার সকালেই চার হাজার দর্শনার্থী এসেছে। দুপুর থেকে সন্ধার মধ্যে আগের দিনের চেয়েও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা থেকে পরিবার নিয়ে আসা মো. মোস্তাফিজুর রহমান মানিক বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের ছুটি কাটানোর উপযুক্ত স্থান দিনাজপুরের রামসাগর। ইতোপূর্বে একাধিকবার এলেও এবারে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন। এই তীব্র গরমে রামসাগরের প্রাকৃতিক শীতল হাওয়ার স্পর্শে মন জুড়িয়ে যায়।

তিনি বলেন, এক সময় রামসাগর ছিল এক শ্রেণীর অপরাধীদের আড্ডাখানা। গত বছর কয়েকজন বন্ধু মিলে এসেছিলাম। তখন তেমন কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এবার শুনলাম রামসাগরে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের রাখা হয়েছে। তাই এবার ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে রামসাগরে এসেছি। তবে এখানে এসে বাস্তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়ার মতো। এছাড়া আগে রামসাগরে খাবার পানির সংকট ছিলো। এবার এসে দেখছি সাগরের বিভিন্ন পারে বিশুদ্ধ খাবার পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখন থেকে অন্যান্য ছুটিগুলোতেও পরিবার নিয়ে রামসাগরে আসবেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দের্যের লীলা ভূমি খ্যাত দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যান- ছবি:বাংলানিউজ
দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানের প্রবেশ পথে অবস্থিত টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বরত মো. আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। রামসাগর জাতীয় উদ্যান অভ্যন্তরে নিরপত্তা বিভিন্ন অসুবিধার কারণে দর্শনার্থীরা কম আসতেন। বর্তমানে সকল সমস্যার সমধাণ হওয়ায় দিন দিন দর্শনার্থী বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এবারের ঈদে জমে উঠেছে প্রাকৃতিক সৌন্দের্যের লীলা ভূমি খ্যাত দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যান।

রামসাগর জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ টিকিটের মূল্য রাখা হচ্ছে জনপ্রতি ১০ টাকা করে।

রামসাগর জাতীয় উদ্যানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ দিনাজপুর জেলা শাখার সদস্য সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আইনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, দিনাজপুর রামসাগরের দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে ট্যুরিস্ট পুলিশ। রামসাগরজুড়ে সার্বক্ষণিক টহলরত অবস্থায় থাকে দু’টি মোটরসাইকেল।

এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্থায়ীভাবে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দর্শনার্থীরা তাদের যেকোনো অসুবিধার কথা জানালে তাৎক্ষণিক সমাধাণের ব্যবস্থা করা হয়। দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো রয়েছে বলেও জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের এই কর্মকর্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
জিপি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।