ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

মেঘালয়ে জীবন্ত শেকড়ের সেতু

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
মেঘালয়ে জীবন্ত শেকড়ের সেতু জীবন্ত শেকড়ের সেতু/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেঘালয়, ভারত থেকে ফিরে: ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দক্ষিণ অংশে গেলে দেখা মিলবে জীবন্ত শেকড়ের সেতুর। মেঘালয়ের পর্বতময় ভ‍ূ-খণ্ডগুলোতে যোগাযোগ রাখতে স্থানীয় আদিবাসীরা রাবার গাছের শেকড় দিয়েই তৈরি করেছে এ প্রাকৃতিক সেতু। যা দেখতে প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটক এসে ভিড় করে শিলং থেকে ৯২ কিলোমিটার দক্ষিণে মাওলিনং গ্রামে।

অনেক পরিচ্ছন্ন মাওলিনং গ্রাম। এখানে সবকিছুই প্রাকৃতিক।

বাড়িগুলোতে খুব বেশি ইট সুড়কির ব্যবহার নেই। পাহাড়ের ঢাল ধরেই বেয়ে উঠেছে গ্রাম। সেই ঢাল ধরে নিচে নামলেই কানে আসে ছড়া বেয়ে আসার পানির শব্দ। আঁকাবাঁকা পথে নিচে নামলে চোখে পড়ে জীবন্ত শেকড়ের এক সেতু। প্রথম দেখায় রহস্যময় মনে হয়। এক রূপকথার নদীর ওপর দিয়ে যেন গড়ে উঠেছে মায়াবী ওই সেতু। যেটা জীবন্ত, হয়তো নড়েচড়ে ওঠে!
জীবন্ত শেকড়ের সেতু দিয়ে দর্শনার্থীদের চলাফেরা/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
সুপারি গাছ বা অন্য কোনো গাছ দিয়ে নদীর দুই পারের মধ্যে একটি সেতু টানা হয়। তবে সেটি পারাপারের উপযোগী নয়। এর উপরই জড়িয়ে বেয়ে উঠেছে রাবার গাছের তন্তুর মতো শেকড়। যা পুরো একটি শক্তিশালী সেতু তৈরি করেছে। এর ওপর লাঠি বা পাথর খণ্ডও দেওয়া যেতে পারে। জীবন্ত শেকড়ের এ সেতু পূর্ণতা পেতে সময় লাগে ১৫ বছরের বেশি সময়।

গাছের শেকড়ের ধরনের ওপর নির্ভর করে সেতুগুলোর স্থায়ীত্ব। তবে, ধারণা করা হয় এক একটি জীবন্ত শেকড়ের সেতু শত বছরের ওপর টিকে থাকে। কারণ শেকড়গুলো নিজেরাই প্রয়োজন অনুসারে বৃদ্ধি হয় এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
মাওলিনং গ্রামের শিশুরা বরশি দিয়ে মাছ ধরছে/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমমেঘালয়ের খাসিয়া আর জৈন্তা আদিবাসীরাই এ জীবন্ত শেকড়ের সেতু নির্মাণে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। তবে এর ইতিহাস সর্ম্পকে জানেনা এখানকার মানুষ।

মেঘালয়ে জীবন্ত শেকড়ের সেতু আরও রয়েছে। কোনোটি দুই ধাপের, কোথাও পাশাপাশি দু’টি সেতু আবার শেকড়ের সিঁড়িও রয়েছে।

এছাড়া নদীতেও এখন তেমন পানি নেই। গ্রামের শিশুরা বরশি দিয়ে মাছ ধরছে। দূরে থেকে দেখা যায় ওই গ্রামের নারীরা কাপড় ধুচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এমএন/ওএইচ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।