ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

২০১৬ সালে ভারতে পর্যটক হিসেবে শীর্ষে বাংলাদেশিরা

আসিফ আজিজ, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
২০১৬ সালে ভারতে পর্যটক হিসেবে শীর্ষে বাংলাদেশিরা ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা

ঢাকা: সর্বশেষ বছর ২০১৬ সালে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে যাতায়াতকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার হোটেলে প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ভারতের ৬৮তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা জানান তিনি। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে ছিলো এ আয়োজন।

রাত সাড়ে সাতটার পর বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। মঞ্চে ছিলেন হাইকমিশনার শ্রিংলা ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

হাইকমিশনার প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন তার বক্তব্যে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় কূটনৈতিক, রাজনীতিক, সাংবাদিক, শিল্পী, আমলা ও বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়রা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শ্রিংলা বলেন, ‘আমরা সীমান্ত পেরিয়ে দু’দেশের মানুষের যাতায়াত সহজ করতে বদ্ধপরিকর। গত এক বছরে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ করতে- যেটা এখন দৃশ্যমান। আমি বলতে পেরে আনন্দিত যে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশিরা ছিলেন ভারতের সবচেয়ে বড় ট্যুরিস্ট গ্রুপ। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার প্রতিদান এটি’।

তিনি বলেন, ‘গত বছর আমাদের দু’দেশের বহুমুখী সম্পর্ক গতিশীল করার অগ্রগতি অনেক। পারস্পরিক সম্পর্ক পেয়েছে নতুন মাত্রা। অনেক প্রথমের ‘প্রথম’ ছিলো গত বছর। প্রথম উপকূলীয় জাহাজ বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছে, প্রথম ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ কক্সবাজার থেকে রফতানি হচ্ছে ত্রিপুরায়, আশুগঞ্জ দিয়ে পণ্য পরিবহনও উল্লেখযোগ্য’।

‘জ্বালানি খাতেও আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান। ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। পাইপলাইনে আরও আছে। এছাড়া জ্বালানি ও অন্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের জন্য হতে পারে বিকল্প বিনিয়োগ গন্তব্য’।

‘এসব পদক্ষেপ দু’দেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক উন্নয়ের চিত্র’।

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সামিটে যোগ দিতে গোয়া গেছেন নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে। উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার বিবিআইএন পরিবহন চুক্তিও এর মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ বছরে ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধায় চালু হয়েছে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। এই সপ্তাহে মেঘালয়ার ডাউকিতে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে’।

হাইকমিশনার বলেন, ‘প্রজাতন্ত্র দিবসে এবারের থিম স্মার্টসিটি। এটি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটি লক্ষ্য। যার উদ্দেশ্য ১০০ শহরকে টেকসই, শিল্প ও আধুনিক প্রযুক্তির শহর হিসেবে গড়া’।

‘দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা, যোগাযোগ, টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা এবং উন্নত অবকাঠামো তরুণ প্রজন্মকে ভালো একটি ভবিষ্যৎ এনে দেবে। আমাদের ৬৫ শতাংশের বেশি নাগরিক যুবক। ৭০ শতাংশের বয়স চল্লিশের নিচে। এই তরুণরাই দক্ষতা-শিক্ষায় হতে পারেন আমাদের উন্নতির প্রধান হাতিয়ার’।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, ভারত এখন শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। স্বচ্ছ ভারতের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ তাদের এগিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ধর্ম,ভাষা, খাদ্যাভাস ও পোশাকে রয়েছে অদ্ভুত মিল।

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় সৈন্যরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে তাদের জীবন দিয়েছেন, আমাদের স্বাধীনতা আনতে সাহায্য করেছেন। একাত্তরে ভারতের সহযোগিতা ভোলার নয়। আমরা খুশি আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে। এখন আমরা আমাদের সম্পর্কের সবচেয়ে ভালো সময় পার করছি’।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
এএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।