ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

শিবচরের লিটন চৌধুরী সেতুতে উপচেপড়া ভিড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৪
শিবচরের লিটন চৌধুরী সেতুতে উপচেপড়া ভিড়

মাদারীপুর: এবারের ঈদে বৃষ্টি বাগড়া দেয়নি। আর থেমে থেমে বাতাস ছিল সারাদিনই।

বেলা পশ্চিমে গড়াতেই পরিবার-পরিজন, প্রিয়জন এবং বন্ধুদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন ভ্রমণপ্রেমী মানুষেরা। মাদারীপুর জেলার শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের লিটন চৌধুরী সেতুতে ঢল নামে মানুষের। সেতুর ওপর, সড়ক, নদীর পার, বালুর চরে বসেছে মানুষের মেলা!

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিনে সেতু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এসে ভিড় করছেন। সেতুর পাশে বালুর চরে মানুষের আগমনকে ঘিরে বসেছে হরেক রকমের দোকান। নাগরদোলাসহ শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা। খেলনা, চটপটি, ফুচকা, আচারসহ বাহারি খাবারের দোকান ঘিরে নারী-শিশুদের ভিড় দেখা গেছে। বিকেলের সময় কাটাতে নদীর পাড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষকে।

ঘুরতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বিকেলে ঘরে মন বসে না। তাই বাড়ির বাইরে ঘুরতে বের হওয়া। তাছাড়া নদীর পাড়ের লিটন চৌধুরী সেতু এলাকা বেশ পরিচ্ছন্ন, সড়কও ঝকঝকে। নদীর পাড়ে বসে সময় কাটানো যায়। আর রয়েছে প্রচুর বাতাস। সব মিলিয়ে বেশ ভালো লাগে। তাই প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছে এখানে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সেতুটির ফলে শিবচর উপজেলার সঙ্গে তিনটি ইউনিয়নের যোগাযোগ সহজ হয়। উদ্বোধনের পর থেকেই পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠে সেতু এলাকা। মানুষের আগমনকে কেন্দ্র করে নদীর পাড়ে গড়ে ওঠেছে বাহারি রকমের খাবারের দোকান। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অবসর সময় কাটাতে দেখা যায় নানান বয়সীদের।

নিলখী থেকে ঘুরতে আসা হাবিব নামের এক কলেজছাত্র বলেন, ঈদের দিন বিকেলে সবাইকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। আসলে বিনোদনের তেমন কোণ জায়গা এখানে নেই। তাই, লোকজন নতুন কোনো সেতু, নদীর পাড়ে ঘুরতে আসে। এখানেও একই কারণে আসা। প্রচুর লোক এখানে। মানুষের এই মিলনমেলা দেখতেও ভালো লাগে।

আদিবা নামের এক স্কুলছাত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে এখানে মেলা বসেছে। ঘুরতে এসে ভালো লাগছে।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে আসা মো. সোবাহান মুন্সী বলেন, নদীর পাড়ে অবিরাম বাতাস। এছাড়া এখানে এলে ভালো লাগে। ঈদে স্থানীয় লোকজন নদ-নদীর পাড় এলাকায় ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে। কারণ, বিনোদনের ভিন্ন রকম ব্যবস্থা এখানে নেই। কোনো পার্ক নেই, পিকনিক স্পট নেই।

ঈদের বিকেলে প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরতে শুধু লিটন চৌধুরী সেতুই নয়, শিবচরের সূর্যনগর দৃষ্টিনন্দন ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজ জামে মসজিদ, পদ্মাসেতু এলাকা, পুরাতন কাওড়াকান্দি ঘাট, পৌর এলাকার দাদা ভাই উপ-শহর, শিবচরের রেলস্টেশনের আশপাশের এলাকাও সাময়িক সময়ের জন্য হয়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র। এই রেশ থাকবে আরও ৪/৫ দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৪
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।