ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

পর্যটন মেলা শেষ হচ্ছে আজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪
পর্যটন মেলা শেষ হচ্ছে আজ

ঢাকা: রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত দেশের বৃহত্তম পর্যটন মেলা ‘দ্বাদশ বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)’ শেষ হচ্ছে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি)।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে দেশের পর্যটন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।

মেলার টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড। এছাড়া সহযোগী হিসেবে ছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ ট্রারিস্ট পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।  

এবার পর্যটন মেলার উদ্বোধন করেছিলেন বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

মেলা সংশ্লিষ্টরা জানান, মেলায় তিনটি হলে ১৪টি প্যাভিলিনসহ ১৫০টি স্টল রয়েছে। এসব প্যাভিলিয়ান ও স্টলে দেশি-বিদেশি ৬০টির বেশি আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইন্স, ট্যুরিজম বোর্ড বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার, হসপিটাল তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্কসহ ১১টি দেশের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা এতে অংশগ্রহণ করেছে।  

মেলায় পণ্য ও সেবা প্রদর্শনীর পাশাপাশি ছিল বি টু বি সেশন-সেমিনার ও গোলটেবিল বৈঠক। এছাড়া মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশের পর্যটন গন্তব্যের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া রয়েছে আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা।

পর্যটন মেলা সম্পর্কে আয়োজক সংস্থা টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে গড়ে তোলার জন্য ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর টোয়াব এ আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করে আসছে। এবার আমরা ১২তম বারের মতো এ আয়োজন করেছি। এবারের মেলা আগের বছরের তুলনায় অনেক আকর্ষণীয় ও জাঁকজমকপূর্ণ ছিল। আজ মেলার শেষ দিন। গত দুদিনে মেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এ মেলা থেকে কোনো ট্যুর প্যাকেজ বা হোটেল বুকিং দিলে পর্যটকরা সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এ মেলায় একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ একই ছাতার নিচে সব ধরনের তথ্য পাচ্ছে। পাশাপাশি মেলায় বি টু বি সেশনের মাধ্যমে আমরা বিজনেস নেটওয়ার্ক গড়ার চেষ্টা করেছি। এ মেলার মাধ্যমে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে তুলে ধরেছি। তাদের আমরা জানান দিতে চেষ্টা করেছি বাংলাদেশ পর্যটকদের জন্য একটি সুরক্ষিত জায়গা। পাশাপাশি এ মেলার মাধ্যমে বিদেশিরা খুশি হয়ে বাংলাদেশে ইনভেস্ট করতে চায়।

আনোয়ার হোসেন বলেন, মেলায় বিভিন্ন এয়ারলাইন্স, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার, হসপিটাল দর্শনার্থীদের বিভিন্ন ধরনের অফার দিয়েছে। দর্শনার্থীরা এসব অফার উপভোগ করছে। গত দুদিনে প্রায় ২০ হাজার দর্শনার্থী এসেছেন। আজ শেষ দিনে আরও ১০-১২ হাজার দর্শনার্থী আসবে বলে আমরা আশা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৪
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।