ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

চলচ্চিত্রে সাপ, সাপের চলচ্চিত্র

সোমেশ্বর অলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৬
চলচ্চিত্রে সাপ, সাপের চলচ্চিত্র ছবি: সংগৃহীত

পরিসংখ্যান বলছে, দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পের ইতিহাসে অর্ধশতাধিক ছবির বিষয়বস্তু হলো সাপ। সাপ, সাপুড়ে ও বেদিনীকে কেন্দ্র করে এসব কাহিনিচিত্র তৈরি হয়েছে।

আবার নেহাত লোক বা পৌরানিক গল্পের ছবিতেও সাপের উপস্থিতি লক্ষণীয়। একটি প্রাণীকে উপজীব্য করে এতো চলচ্চিত্র কীভাবে তৈরি হলো এবং সেগুলো দর্শক সমাদরও পেলো তা রীতিমতো গবেষণার বিষয়!
 
বিশ্ব চলচ্চিত্রে নানাভাবে এসেছে সাপ। একেক সমাজে সাপকে ঘিরে একেক ধারণা বিদ্যমান। সাপ কোথাও যৌনতার প্রতীক, কোথাও সংহারদেবী, কোথাও উদ্ধারকর্তা, কোথাওবা ইচ্ছাপূরণের নিমিত্ত। দেশীয় চলচ্চিত্রে সাপ এসেছে দু’ভাবে- চরিত্র হিসেবে ও মনুষ্যমূর্তি ধারণ করে।
 
চলচ্চিত্রকে রোমাঞ্চকর করে তুলতে কাহিনির স্বার্থে সাপকে উপস্থাপন করা হয়েছে যুগে যুগে। সাপনির্ভর চলচ্চিত্রের সফলতার পেছনে নারী ও শিশুদের গ্রহণযোগ্যতাই বেশি কাজ করেছে। পরিচালকদের মতে, এই দুই শ্রেণীর দর্শকের কাছে সাপ আকর্ষণীয় বিষয়। এ কারণে একটা সময় পর্যন্ত দেশে একের পর এক ছবি তৈরি হয়েছে সাপকে উপজীব্য করে। এর অধিকাংশই পেয়েছে ব্যবসায়িক সাফল্য। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এসে সাপ নিয়ে ছবির সংখ্যা নেমে এসেছে শুন্যের কোঠায়। ফ্যান্টাসি বা মসলাদার ছবির বিষয়বস্তু বদলে যাওয়ায় এমন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
 
অবিভক্ত বাংলার পশ্চিম অংশে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরুর পর কাহিনিতে সামাজিক, ধর্মীয় ও কল্পনাশ্রীত বিষয় যেমন প্রাধান্য পেতো; তেমনি পৌরাণিক, লোকজ ও অলৌকিক বিশ্বাসনির্ভর বিষয়ও স্থান পেয়েছিলো। সাপও বাংলা চলচ্চিত্রের শুরুর কাল থেকেই অন্যতম উপাদান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলা ভাগের পর পূর্ববাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তানের ছবিতেও সাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে এসেছে। বাংলাদেশেও সেই ধারাবাহিকতা অটুট থেকেছে।
 
চলচ্চিত্রে সাপ এসেছে বিচিত্ররূপে। সাপ প্রধানত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুসৃত বিশ্বাসের কাঠামো থেকেই রূপালি পর্দায় এসেছিলো। পূর্ব পাকিস্তান পর্বে মুসলমান জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কারজাত কিছু উপাদানও চলচ্চিত্রে যুক্ত হয়। যেমন উড়ন্ত জায়নামাজ, দরবেশের হাতে লাঠি, গায়েবি আওয়াজ- প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এই পর্বে শুধু সাপ নয়; যারা সাপখেলা দেখায়, যারা সাপ ধরে ও বিক্রির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে, তারাও চলচ্চিত্রের বিষয় হয়েছে। সাপ এখানে প্রকৃতির এমন একটি অংশ হিসেবে এসেছে, যে অংশ লৌকিক মানুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গী।
 
সাপ নিজেও যে ক্ষমতা আর ভয়ের প্রতীক, তা-ও স্পষ্ট হয় সাপকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রগুলো পর্যবেক্ষণ করলে। বস্তুত ভৌগোলিক পরিবেশের কারণেই ভাটি বাংলায় ক্ষমতা ও ভয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে সাপ। যে প্রতীক এখনও চলচ্চিত্রসহ অন্যান্য শিল্পমাধ্যমে গুরুত্ব পেয়ে আসছে। সাপ আবার বাস্তুরক্ষার প্রতীকও। সত্যজিৎ রায়ের ধ্রুপদী ছবি ‘পথের পাঁচালী’র শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, হরিহর তার পরিবারসহ নিশ্চিন্দিপুর গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যাচ্ছে। তখন হরিহরের পরিত্যক্ত জীর্ণকুটিরে একটি সাপ প্রবেশ করে। এই সাপ বাস্তুসাপ; এই সাপ বাস্তুরক্ষার প্রতীক।
 
চলচ্চিত্র শিল্পে সাপ উপাদান হিসেবে আসার আগে তা এসেছে পুরাণ, লোকগাঁথা, মঙ্গলকাব্য তথা মৌখিক সাহিত্যে। মঙ্গলকাব্যের তিনটি ধারা খুব প্রবল। এগুলো হলো চণ্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল ও মনসামঙ্গল। এর মধ্যে সর্বপ্রাচীন হচ্ছে মনসামঙ্গল। ভাটি বাংলায় চৌদ্দ থেকে আঠারো শতক পর্যন্ত মনসামঙ্গল প্রভাবিত মঙ্গলগান, আখ্যানগীত, পদ্মাপুরাণভিত্তিক খণ্ডগান, পালাগান, ঢপযাত্রা, লোকায়ত নৃত্য প্রভৃতি চর্চিত হয়ে আসছে। বাংলা ছবি নির্মাণ শুরুর সময় থেকে মনসামঙ্গলের নানা উপকরণ যুক্ত হতে থাকে। মনসা হচ্ছে সর্পদেবী লক্ষ্মীর অন্য এক রূপ ও নাম। পদ্মা এবং পদ্মাবতী নামেও মনসা পরিচিত। জলা-জঙ্গলপূর্ণ ভাটি বাংলায় সাপের উপদ্রব খুব বেশি থাকায় এখানে সর্পদেবীর ধারণাটি পোক্ত হয়েছে। পাশাপাশি সাপ একদিকে পূজনীয় বিষয় হয়েছে। অন্যদিকে লোকসাহিত্য, নৃত্য ও গীতের আধেয়ও হয়েছে। সবশেষে সাপ চলচ্চিত্রে এসেছে চরিত্র হিসেবে।
 
প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কাহিনির মধ্য দিয়ে যুগ যুগ ধরে ভাটি বাংলার মানুষ কতোগুলো নীতিকথা, আপ্তবাক্য প্র্রভৃতি পাঠক ও দর্শক সমাজের সামনে তুলে ধরে। ‘নাগ নাগিনী’র স্বপ্নেও দুষ্টের দমনের প্রসঙ্গ এসেছে। ক্ষমতাধারী হয়ে অবৈধ কর্তৃত্ব করার বাসনা করলে কী পরিণতি হয়, তা-ও দেখানো হয়েছে। যৌন মিলনের প্রতীক হিসেবে সাপ যে এ অঞ্চলের জনমানসে বদ্ধমূল হয়ে আছে, তা-ও আলোচ্য চলচ্চিত্রের কাহিনিসূত্রে ধরা পড়ে।
 
দেশের অন্যতম সুপারডুপার হিট চলচ্চিত্র ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ (১৯৮৯) সাপ ও বেদে সম্প্রদায়কে নিয়ে অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি। এটি তৈরি হয়েছিলো শতবর্ষের প্রাচীন ও গ্রামগঞ্জে বহুল অভিনীত একটি যাত্রাপালা অবলম্বনে। এখানে সাপ ব্যবহৃত হয়েছে বেদেজীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে। ছবিটিতে অভিনয়ের মাধ্যমে অঞ্জু ঘোষ রাতারাতি তারকা বনে যান। এপার-ওপার বাংলায় ছবিটি দুর্দান্ত ব্যবসাসফল হয়।
 
বীন বাদ্যের আলাদা একটা সুরই আছে। একটা সময় সিনেমা হলে সাপের কোনো ছবি প্রদর্শন হলে গুজব রটতো যে, প্রেক্ষাগৃহে সাপ ঢুকেছে! সাপ শুধু বাংলা চলচ্চিত্র নয়, বিষহরীর গান, যাত্রা, পালা, লোকনাট্য, আল্পনা, চিত্রকলা, নকশাকর্ম প্রভৃতি শিল্পমাধ্যমে বহুমাত্রিক একটি চরিত্র ও প্রতীক হিসেবে হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত।
 
ভারতীয় উপমহাদেশে সাপ তথা নাগ-নাগিনী নিয়ে বহু দর্শক-সমাদৃত চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। দর্শকসমাজ সাপ, সাপুড়ে ও বীনকে সাদরে গ্রহণ করেছে। কারণ সাহিত্য, ধর্মীয় আচার, নৃত্য, গীত ও পালা-আখ্যানের কল্যাণে তারা সাপের সঙ্গে প্রাচীনকাল থেকে পরিচিত। চলচ্চিত্র নির্মাতারাও সাপকে তাদের চলচ্চিত্রে এনেছেন প্রধানত এর গ্রহণযোগ্যতার দিকটি বিবেচনা করে। সাপকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের গানের কথা ও সুর এতো লোকপ্রিয় হতো যে, সেসব গান মানুষের মুখে মুখে ফিরতো।
 
সাপ ও সাপুড়ে নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলাদেশে অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘মহুয়া’ (১৯৬৬), ‘বেহুলা’ (১৯৬৬), ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’ (১৯৬৮), ‘পাতালপুরীর রাজকন্যা’ (১৯৬৯), ‘বেদের মেয়ে’ (১৯৬৯), ‘নাগিনীর প্রেম’ (১৯৬৯), ‘মলুয়া’ (১৯৬৯), ‘আমীর সওদাগর’, ‘ভেলুয়া সুন্দরী’ (১৯৭০), ‘নাগ-নাগিনী’ (১৯৭৯), ‘শীষনাগ’ (১৯৭৯), ‘নাগিনী কন্যা’ (১৯৮২), ‘নাগ পূর্ণিমা’ (১৯৮৩), ‘নাগরানী’ (১৯৮৩), ‘পদ্মাবতী’ (১৯৮৪), ‘রসের বাইদানী’ (১৯৮৪), ‘চন্দনদ্বীপের রাজকন্যা’ (১৯৮৪), ‘জিপসি সর্দার’ (১৯৮৪), ‘সতী নাগকন্যা’ (১৯৮৫), ‘নাগমহল’ (১৯৮৬), ‘চাঁদ সওদাগর’ (১৯৮৬), ‘পদ্ম গোখরা’ (১৯৮৭), ‘নাগিনা’ (১৯৮৭), ‘মহুয়া সুন্দরী’ (১৯৮৭), ‘নাগজ্যোতি’ (১৯৮৮), ‘সর্পরানী’ (১৯৮৮), ‘বেহুলা লখিন্দর’ (১৯৮৮), ‘জলপরী’ (১৯৮৯), ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ (১৯৮৯), ‘সাপুড়ে মেয়ে’ (১৯৮৯), ‘সাগরকন্যা’ (১৯৮৯), ‘নাচে নাগিন’ (১৯৯১), ‘রাজার মেয়ে বেদেনী’ (১৯৯১), ‘শীশমহল’ (১৯৯১), ‘বনবাসে বেদের মেয়ে জোসনা’ (১৯৯১), ‘রূপসী নাগিন’ (১৯৯২), ‘নাগিনী সাপিনী’ (১৯৯২), ‘নাগ নাগিনীর স্বপ্ন’(২০০৯) প্রভৃতি।
 
এসব নাম দেখেই ছবিগুলোর বিষয়বস্তু সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। শ্রেণীভুক্ত করেও চলচ্চিত্রগুলোয় সাপের ভূমিকা নির্ণয় করা যায়। মঙ্গলকাব্য থেকে উৎসারিত ‘বেহুলা’ ও ‘পদ্মাবতী’ ছবি দুটিতে সাপ এসেছে পুরাণের হাত ধরে। উভয় চলচ্চিত্রেই সাপ মর্ত্যের মানুষের ক্ষতি করতে যেমন তৎপর, লোকগাঁথাভিত্তিক ‘মহুয়া’, ‘মলুয়া’, ‘আমীর সওদাগর’ ও ‘ভেলুয়া সুন্দরী’ প্রভৃতি ছবিগুলো আবার লোকজীবনের প্রসঙ্গকে ভিত্তি করে নির্মিত। এগুলোতে লৌকিক মানুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হিসেবে এসেছে সাপ। ‘পদ্মা গোখরা’য় সাপ এসেছে আধুনিক সাহিত্যকর্মের সূত্রে। এখানে সাপকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ উপাদান হিসেবে দেখেছেন কাজী নজরুল ইসলাম।
 
বস্তুত বৃহত্তর লোকসমাজের মনের একটি বিশেষ রূপ পাওয়া যায় এসব চলচ্চিত্রে উপস্থাপিত সাপের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে। সেই বিশেষ রূপটি ‘দুষ্টের দমন শিষ্টের জয়’ শীর্ষক প্রবচন থেকে উৎসারিত। উল্লিখিত প্রায় সব চলচ্চিত্রেই সাপ দুষ্টের দমনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
 
হাত ও পা বিহীন সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী সাপ। একবার যদি কেউ এই সাপের অনিষ্ট করে, তবে ওই ব্যক্তির বিনাশ না করা পর্যন্ত ক্ষ্যান্ত হয় না এই প্রাণী। তবে চিকিৎসক নয়, সাপ নিজেই ভালো করতে পারে সাপে কাঁটা মানুষকে। বীনের সুরে, গান অথবা নাচের তালে মুগ্ধ কিংবা বাধ্য হয়ে ছুটে এসে অসাধ্য এই কাজটি সাধন করে সাপ। গো-দুধ পান করতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে এই প্রাণীটি। কিন্তু এমনটি মনে করে না বিজ্ঞান।
 
আসলে সাপের মণি বলতে কিছু নেই। তন্ত্র মন্ত্র দিয়ে সাপ ধরা হয়- এটাও ভিত্তিহীন। আর সাপ দুধ খায় না। কারণ দুধ খাওয়ার মতো কোনো উপযুক্ত মাধ্যম নেই সাপের মুখে। শুষে নেওয়ারও কোনো মেকানিজম নেই সাপের। এই প্রাণীটি কানে শোনে না। সে কম্পন দ্বারা অনুভব করে। কিন্তু চলচ্চিত্রে এই সত্যিগুলো ঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত নয়। এ বিষয়ে দর্শকদের বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে।
 
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু সাপ নিয়ে সর্বাধিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে সফলতা পেয়েছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ছোটবেলায় দাদা-দাদী, নানা-নানীর কাছে এসব গল্প শুনতাম। তখন বিশ্বাস করতাম, এগুলো মনে হয় সত্যি। এখন সেই বিশ্বাস থেকে সরে এসেছি এমন নয়। সাপ নিয়ে বানানো আমার প্রতিটি ছবিই হিট হয়েছিলো। সাপের ছবি তৈরি করেছিলাম মূলত ব্যবসায়িক সাফল্যের কথা ভেবে। ’
 
আরেক পরিচালকের ভাষ্য, ‘ছবিতে মূলত নাচ-গানও দর্শক উপভোগ করতে চান। তিন বা আড়াই ঘন্টার ছবিতে গানও বেশ জরুরি উপাদান। সাপের ছবিতে এ বিষয়গুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরা সম্ভব। ’
 
* তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
 
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৬
এসও/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ