ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তারার ফুল

অভিনয় যখন নেশা ও ভালোলাগা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
অভিনয় যখন নেশা ও ভালোলাগা ছবি: কাশেম হারুন/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কল্লোল চৌধুরীর কথা শুনলে মনে হবে তিনি আবৃত্তি করেন! দারুণ শুদ্ধ উচ্চারণ। কথা বলার এই শিল্প তিনি কোথাও শেখেননি।

পারিবারিকভাবেই এসেছে। বাবা ছিলেন সংস্কৃতিমনা। তাই কল্লোল অভিনয়ে আসতে পেরেছেন। মায়ের ইচ্ছে ছিলো টিভিতে ছেলের অভিনয় দেখা। কিন্তু তার সেই ইচ্ছাটা তেমনভাবে পূরণ হয়নি। এই আক্ষেপ এখন কাজ করে কল্লোলের মধ্যে।

তিন বছর হলো কল্লোল কাজ করছেন ছোটপর্দায়। একুশে টেলিভিশনের ধারাবাহিক নাটক ‘গ্রাস’ তার প্রথম কাজ। তখন তিনি ছাত্র। বি.কম করছিলেন আইডিয়াল কলেজে। দু’বছর আগে বৈশাখী টিভির ‘বড় বাড়ির ছোট বউ’ দিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন। একই চ্যানেলে দেড় বছর ধরে চলছে ‘জয়িতা’। এর রাতুল চরিত্রে কাজ করে জনপ্রিয়তা বেড়েছে তার। তাই এগুলোর নাট্যকার টুকু মজনিউল ও পরিচালক লুৎফুন্নাহার মৌসুমীকে ধন্যবাদ দিতে ভুললেন না।

অন্য ধারাবাহিকের মধ্যে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে ‘তিন গোয়েন্দা’। আরটিভিতে যাওয়া ‘অনাকাঙ্ক্ষিত সত্য’র কয়েকটি পর্বে তাকে দেখা গেছে। সম্প্রতি প্রচার শেষ হয়েছে ‘দিবানিশি’ (এটিএন বাংলা) ও ‘ক্রাইম স্টোরি’ (চ্যানেল আই)। শুটিং শেষ করলেন আবদুল্লাহ রানার ‘মেগাসিটি ভেগাবন্ড’ (এটিএন বাংলা)। একই চ্যানেলে যাওয়ার কথা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ধারাবাহিক নাটক এসএম শাহীনের ‘সোনাভান’।

ঢাকায় জন্ম হলেও সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় কল্লোল চলে গিয়েছিলেন কুষ্টিয়ায়। তখন শীত মৌসুমে মঞ্চস্থ নাটক দেখে অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মে তার মধ্যে। চাচার দেখাদেখি তিনিও সম্রাট আওরঙ্গজেব হতে চেয়েছিলেন বেড়ে ওঠে! রাজশাহীতে অনুশীলন নাট্যদলের নাটক দেখতেন নিয়মিত। পরবর্তীতে ঢাকায় এসে আবৃত্তিশিল্পী মাহিদুল ইসলামের পরামর্শে নাট্যকেন্দ্রের তৃতীয় ব্যাচের সদস্য হন। তারিক আনাম খান, তৌকীর আহমেদের হাত ধরে মূলত তার নাট্যচর্চা শুরু। এখন অনিয়মিত হলেও মঞ্চে ফেরার তাগিদ অনুভব করেন। ব্যবসায়িক ব্যস্ততা ও শুটিংয়ের চাপ থাকায় আপাতত তা পারছেন না। তার কথায়, ‘মঞ্চেই আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কারণ দর্শকের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা যায় এখানেই। ’

টেলিছবি ও একক নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- আবদুল্লাহ রানার ‘বদলি সুরত’ (চ্যানেল নাইন), আবুল হোসেন খোকন পরিচালিত ‘গুডবাই কমান্ডার’ (মাছরাঙা টেলিভিশন), রাজু খানের ‘বিবর্তন’ (চ্যানেল আই)। প্রচারের অপেক্ষায় আছে আরও ৮-১০টি নাটক। এর মধ্যে আবুল হোসেন খোকনের পরিচালনায় ‘মন্তব্য নিষ্প্রেয়োজন’-এর কথা আলাদাভাবে বললেন কল্লোল। শুধু নাটক নয়, অমিতাভ রেজার নির্দেশনায় ফ্রুটিকা জুসের বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া অঙ্কুরের নির্দেশনায় আরএফএল প্লাস্টিক পাইপের বিজ্ঞাপনেও দেখা গেছে তাকে।

কল্লোলের কাছে শহুরে চরিত্রের ডাকই বেশি আসে। তবে সব ধরনের চরিত্রেই কাজ করতে ইচ্ছুক তিনি। সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে কাজের স্বপ্ন দেখেন। তার কথায়, ‘আমার কাছে এখন অভিনয়টা আমার নেশার জায়গা। একটা সময় ভাবতাম, অভিনয় থেকে আয়ের সুযোগ থাকলে অন্য পেশায় যেতাম না। এখন অবশ্য সেই সুযোগটা এসেছে। তবে এটা আমার কাছে নেশা আর ভালোলাগার জায়গাতেই থাকবে। ’

বাংলাদেশ সময় : ১২৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ