ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তারার ফুল

৫০ সেকেন্ডের জন্য এত্তোকিছু!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
৫০ সেকেন্ডের জন্য এত্তোকিছু! পপি/ছবি: নূর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

অনেকদিন পর এফডিসিতে পপি। কাজের সূত্রে প্রিয় এই চত্বরে তার আসা-যাওয়া কমে গেছে।

এমনিতে হয়তো এই পথ দিয়ে যাওয়ার বেলায় অথবা সহকর্মীদের কারও সঙ্গে একটু দেখা করা কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া- এসব উদ্দেশে এফডিসিমুখো হন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। মজার ব্যাপার হচ্ছে, শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) মাত্র ৫০ সেকেন্ডের জন্য এফডিসিতে এসেছিলেন পপি।

বিষয়টা খুলেই বলা যাক। তিন নম্বর ফ্লোরের সাজঘরে আবিষ্কার করা গেলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই অভিনেত্রীকে। আয়নার সামনে শেষ দেখা দেখছেন নিজেকে। ওয়েস্টার্ন টপস পরেছেন, কোমরবন্ধনী, পার্টিসাজ। অঙ্গসজ্জাকর আছেন, সঙ্গে পোশাক পরিকল্পনাকারী রামিম রাজ। তিনি সায় দিলেন- ‘এবার হয়েছে’। পপি খুশি মনে ছুটলেন নৃত্যমঞ্চের দিকে, চার নম্বর ফ্লোরে, শুটিং ওখানেই।

পপির সঙ্গে কথা হলো এর ফাঁকেই। তিনি একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়েছেন, তারই দৃশ্যধারণ এটা। বেশুমার নাচানাচির ব্যাপার। পণ্য হচ্ছে বিস্কুট। বিস্কুটের বিজ্ঞাপনে নাচানাচি? তাহলে গানটা কেমন? সেটা নতুন নাকি পুরনো? কৌতূহল নিয়ে দে ছুট পপির পিছু পিছু!

‘ওই কাঞ্চি…’- পুরুষ কণ্ঠে লম্বা করে একটা আহ্বান, ইঙ্গিতপূর্ণ। এরপর গানের শুরু। এ কী? এতো বিখ্যাত সেই গান। রুনা লায়লা গেয়েছিলেন, রোজিনা ঠোঁট মিলিয়েছিলেন। ‘আমি বলতে পারি না মুখে তওবা তওবা…’- সেই গানের সঙ্গে নাচের মুদ্রা মেলাচ্ছে কিছু-ছেলে মেয়ে। পুরো চার নম্বর ফ্লোর নড়েচড়ে ‍উঠলো পপির আগমনে। ততক্ষণে লাইট, ক্যামেরা, মঞ্চ- সব তৈরি। সেট সাজানো হয়েছে নাইটক্লাবের আবহে। তিনি গিয়ে যোগ দিলেন সহশিল্পীদের সঙ্গে। মহড়াও করলেন। দুপুর ১টার দিকে মাইকে ঘোষণা এলো, ‘এবার প্রথম টেক হবে। ’ একটা প্রশ্ন তখন থেকেই মাথায়…। আচ্ছা, এই গানটির সঙ্গে বিস্কুটের কী সম্পর্ক?

রোমানিয়া বিস্কুটের এই বিজ্ঞাপনচিত্রের মূলভাবনা জানা গেলো আরও পরে। ক্যামেরা মনিটরের সামনে নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, শিল্প নির্দেশক সামুরাই মারুফসহ অনেকে। ক্যামেরায় চোখ তাক করে রেখেছেন চন্দন রয় চৌধুরী। মঞ্চে নিজের অবস্থান ‘ওকে’ করলেন পপি। এরপর গুটি গুটি পায়ে নেমে এলেন। কেনো! শুভকাজের শুরুতে এটা করতে হয়। ক্যামেরার পেছনের প্রধান প্রধান মানুষগুলোর সঙ্গে ‘কোলাকুলি’ সেরে পপি আবার ছুটে গেলেন মঞ্চে। কয়েকবারের চেষ্টায় পপির ‘এন্ট্রি দৃশ্য’ ক্যামেরাবন্দি করা হলো। দৃশ্য এগিয়ে গেলো পরের দৃশ্যের দিকে। এভাবে মধ্যরাত অবধি খাটলেন পপি। মাত্র ৫০ সেকেন্ড ব্যাপ্তির একটি বিজ্ঞাপনের জন্য এত্তোকিছু, পুরো দিন পার!   

এবার বিস্কুট আর কালজয়ী এই গানটির মধ্যে সম্পর্ক উদঘাটন করা যাক। রোমানিয়া বিস্কুট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, শুধু নিজেদের পণ্যের প্রচার নয়, এর সঙ্গে দেশের ঐতিহ্যের একটা যোগসাজশ তারা রাখতে চান। যে কারণে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের বিখ্যাত এই গানটিকে নতুনভাবে দর্শকের কাছাকাছি নিয়ে আসা। নিজেদের পণ্যের গুণগান তুলে ধরার পাশাপাশি তারা দেশি ছবি ও গানের প্রসারেও থাকতে চায় সমানভাবে। একই কারণে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পপিকে বেছে নেওয়া হয়েছে রোমানিয়া বিস্কুটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও মডেল হিসেবে।

‘নসিব’ ছবিতে রুনা লায়লার গাওয়া গানটি বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য নতুনভাবে গেয়েছেন কনা। সংগীতায়োজন করেছেন নাভেদ পারভেজ। পপির নতুন এই বিজ্ঞাপন টেলিভিশনের পর্দায় আসবে আগামী সপ্তাহে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
এসও/জেএইচ


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ