নিরাপদ সড়কের দাবিতে যশোরে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মণিরামপুর পৌরসভার সামনে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে বসুন্ধরা-শুভসংঘের মণিরামপুর উপজেলা শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
‘সড়ক যেন হয় নিরাপদ, বন্ধ হোক মৃত্যুর মিছিল’ স্লোগানে এ মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের মণিরামপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক এস এম হাফিজুর রহমান। আর সঞ্চালনা করেন দৈনিক কালের কণ্ঠ’র প্রতিনিধি অধ্যাপক বাবুল আকতার।
এ সময় বক্তব্য দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্য মাস্টার মো. সামছুজ্জামান, আব্দুর রহমান, মো. মুহিব বুল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক মো. কামরুজ্জামান, মো. জাকারিয়া হোসেন, হাসাইন ইকবাল সানি, তারেক জাবের, তাহমিদ, সানজিদা আক্তার সোনিয়া, আফরিন আনিকা, শরিফ মাহমুদ, শুভ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনা প্রতিদিনই কেড়ে নিচ্ছে শত শত প্রাণ। সড়কে নিয়মিত চলছে মৃত্যুর মিছিল। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলা সময়ের দাবি।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, যশোরের মণিরামপুরেও প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা।
সম্প্রতি মণিরামপুর সরকারি কলেজের দুই শিক্ষার্থী কলেজে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানচাপায় নিহত হন। কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে যাওয়ার পথে ট্রাকচাপায় নিহত হন পথচারী।
পরের দিনই ট্রাকচাপায় নিহত হন এক গৃহবধূ, অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় কোলে থাকা শিশুসন্তান, আহত হন ওই নারীর স্বামী। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ তোলপাড় শুরু হয়। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য বসুন্ধরা শুভসংঘ এ আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, অপ্রশস্ত রাস্তা, যানবাহনের অপ্রতুলতা, ট্রাফিকব্যবস্থার ত্রুটি, ভাঙা রাস্তা, গাড়ির ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিন, চালকের অসাবধানতার কারণে মৃত্যুর মিছিল বড় হচ্ছে। সড়কগুলো প্রশস্ত করার পাশাপাশি ডিভাইডারের ব্যবস্থা করতে হবে।
সর্বোপরি ট্রাফিক আইনের আধুনিকায়ন ও কঠোরভাবে তা কার্যকর করতে হবে।
তারা বলেন, গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ট্রাফিক সপ্তাহ উদযাপন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা ও ডকুমেন্টারি ছবি প্রদর্শন করতে হবে। সরকারসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে যথাযথভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে দুর্ঘটনামুক্ত নিরাপদ সড়ক পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক