ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

প্রস্তাবিত বাজেট পুঁজিবাজার বান্ধব: ডিএসই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
প্রস্তাবিত বাজেট পুঁজিবাজার বান্ধব: ডিএসই সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পুঁজিবাজার বান্ধব হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। একইসঙ্গে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ারও দাবি জানায় ডিএসই।

রোববার (১৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের ডিএসই কার্যালয়ে আয়োজিত প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এ এম মাজেদুর রহমান এ কথা জানান।

ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশে সারা বিশ্বনীতি সমর্থন এবং প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সম্পৃক্ততার মাধ্যমে সরকারের যে বলিষ্ঠ ভূমিকা থাকে, ঘোষিত বাজেটেও সে ধরনের ভূমিকা রয়েছে।

ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, দীর্ঘমেয়াদী মূলধন সংগ্রহের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো দেশের পুঁজিবাজার। আগামীতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশীদার হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারকে সরকার কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে নেবে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আশা করে যে, সরকারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যেসব প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এতে বাজারে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি ও জাতীয় অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। বেসরকারিখাত আরো শক্তিশালী ও বিকশিত হয়ে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে। যা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করবে।

পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নোক্ত প্রণোদনাসমূহের জন্য ডিএসই বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছে ও সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের ফলে ক্রমবিকাশমান পুঁজিবাজার আরও এগিয়ে যাবে বলে ডিএসই’র এমডি আশা করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে অনেকগুলো প্রণোদনার পাশাপাশি ডিএসই আরো কিছু প্রণোদনার বিবেচনার দাবিও জানান তিনি।

সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী ৫ বছরের জন্য পূর্ণ কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া, এসএমই মার্কেটের লেনদেনের উপর উৎসে কর অব্যাহতি, স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে ট্রেজারি বিল এবং বন্ডের লেনদেনের ওপর কর অব্যাহতির বিষয় সুস্পষ্টকরণ, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করপোরেট আয়কর হারের পার্থক্য ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশে উন্নীত করাঃ তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করপোরেট আয়কর হারের পার্থক্য শতকরা ১০ এর পরিবর্তে শতকরা ২০-এ উন্নীত করা ও স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক হোল্ডারদের কাছ থেকে উৎসে কর সংগ্রহের হার হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম, ডিএসই’র পরিচালক রকিবুর রহমান, মিনহাজ মান্নান ইমন উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯/আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা
এসএমএকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।