বুধবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৩৭তম সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বুধবারের কমিশন সভায় ব্যাংক দু’টির নন-কনভার্টেবল ফ্লোটিং রেট সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক দু’টি ৫০০ কোটি টাকা করে মোট এক হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করবে। বন্ডের মেয়াদ হবে সাত বছর।
ব্যাংক দু’টির মধ্যে ঢাকা ব্যাংক বন্ডের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নন-কনভার্টেবল, ফুললি রিডাম্বেল, ফ্লোটিং রেট, আনসিকিউরড, আনলিস্টেড ও সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। যমুনা ব্যাংক বন্ডের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নন-কনভার্টেবল, ফুললি রিডাম্বেল, কুপন বিয়ারিং, আনসিকিউরড, আনলিস্টেড ও সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। উভয় বন্ড ৭ বছরে ফুল রিডাম্পশন হবে।
ঢাকা ব্যাংকের এ বন্ডটি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, ফান্ড, কর্পোরেট বডি এবং যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। যমুনা ব্যাংকের বন্ডটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।
ঢাকা ব্যাংক এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে টায়ার টু ক্যাপিটাল বেজ এর শর্ত পূরণ করবে। বন্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। বন্ডের ট্রাস্টি এবং ম্যান্ডাটেড লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে গ্রিন ডেল্টা ইস্যুরেন্স কোম্পানি এবং স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক।
যমুনা ব্যাংক তাদের বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে টায়ার-টু ক্যাপিটাল বেজ এর শর্ত পূরণ করবে। যমুনা ব্যাংক নন-কনভার্টেবল কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড এর প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক কোটি টাকা। এই বন্ডের ট্রাস্টি এবং ম্যান্ডাটেড লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে যথাক্রমে আইডিএলসি ফাইন্যান্স ও যমুনা ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস
