ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

বিএসইসি’র শোকজের ব্যাখ্যা দিলো ডিএসই, সিএসই ও সামিট পাওয়ার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
বিএসইসি’র শোকজের ব্যাখ্যা দিলো ডিএসই, সিএসই ও সামিট পাওয়ার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শোকজের ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সামিট পাওয়ার লিমিটেড।

ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শোকজের ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সামিট পাওয়ার লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ডিএসইর পক্ষে ডিএসইর ব্যস্থাপনা পরিচালক ও লিস্টিং বিভাগের প্রধান, সিএসইর পক্ষে সিএসইর এমডি, সিআরও এবং লিস্টিং বিভাগের প্রধান সব ধরনের কাগজ পত্রসহ স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেন।

এ ছাড়াও সামিট পাওয়ার লিমিটেড কোম্পানির এমডিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগের কমিশনারের সভাপতিত্বে তিনদফা শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফায় ১১টা ১০ মিনিটে সামিট পাওয়ারের শুনানি শুরু হয়। এরপর ডিএসই তারপর সিএসইর সঙ্গে শুনা‍নি অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১৫ নভেম্বর নন-কমপ্লায়েন্স অব সিকিউরিটিজ রুলস লঙ্ঘন করায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান এমডিসহ পরিচালনা পরিষদের সব সদস্য, প্রধান রেগুলেটরি আফিসার (সিআরও) এবং লিস্টিং বিভাগের প্রধানকে শোকজ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সবাই উপস্থিত হয়ে নিজেদের ব্যাখ্যা দেয়। এরপর কমিশন সব কিছু যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সূত্র জানায়, সামিট পাওয়ারের সঙ্গে এ গ্রুপের তিন কোম্পানি একীভূতকরণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া জটিলতায় উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ করে। তবে এরপর ৯ অক্টোবর থেকে লেনদেন শুরু হয়।

এর আগে কমিশন সভায় সামিট পাওয়ারকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্য ১৯ কোটি ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ৫১৮টি শেয়ার ইস্যু করে ১৯১ কোটি ৮৭ লাখ ৬৫ হাজার ১৮০ টাকা মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিএসইসির অভিযোগ, কোম্পানিটি একীভূতকরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিবিধান সঠিকভাবে অনুসরণ করেনি। বিশেষ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে কোম্পানিটি মূলধন বাড়ানোর অনুমতি নেয়নি। কিন্তু কোম্পানি দু’টি একীভূত হওয়ার কারণে সামিট পাওয়ারের পরিশোধিত মূলধন নিশ্চিতভাবেই বাড়বে। তাই একীভূতকরণ সম্পন্ন করার আগেই মূলধন বাড়ানোর অনুমতি নেওয়া অপরিহার্য। তবে লেনদেন বন্ধ করার পর ২৮ আগস্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে মূলধন বাড়ানোর আবেদন করে কোম্পানিটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
এমএফআই/জিপি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।