ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

মালিকানা বিক্রিতে আরো এক বছর সময় চেয়েছে ডিএসই-সিএসই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৬
মালিকানা বিক্রিতে আরো এক বছর সময় চেয়েছে ডিএসই-সিএসই

কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৫ শতাংশ মালিকানা বিক্রি করতে আরো ১ বছর সময় চেয়েছে ঢ‍াকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা: কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৫ শতাংশ মালিকানা বিক্রি করতে আরো ১ বছর সময় চেয়েছে ঢ‍াকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) কর্তৃপক্ষ।
 
বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে নতুন করে আরো ১ বছর সময় চেয়ে আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
 
সূত্র জানায়, নিয়ম অনুসারে ডিএসই ও সিএসইকে বৃহস্পতিবারের (০৮ ডিসেম্বর) মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি করতে গত বছরের ০৯ ডিসেম্বর কমিশন এ নির্দেশনা দেয়।  
 
কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কোনো স্টক এক্সচেঞ্জই মালিকার ২৫ শতাংশ বিক্রি করতে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারেনি। তাই কমিশনের কাছে ডিএসইর ও সিএসই আরো এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করেছে।
 
বর্তমানে ডিএসইর পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। এ হিসেবে অভিহিত মূল্য অনুযায়ী কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রায় ৪৫১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির বাধ্যবাধকতা ছিলো। অন্যদিকে সিএসইকে কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে অভিহিত মূল্যের ভিত্তিতে ১৫৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকারও বেশি শেয়ার বিক্রি করতে হতো।
 
এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এএম মাজেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনতে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। নতুন করে আরো ৭-৮টি কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ফলে ভাল দামে শেয়ার বিক্রির পাশাপাশি ডিএসইকে কৌশলগত কি ধরনের সার্পোট দিবে সে সব বিষয়ের কথা বিবেচনার জন্য আরো ১ বছর সময় চেয়ে আবেদন করেছি।
 
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, সিএসইর সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে অন্তত ৫০টি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।  

দেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানই তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে আইসিবির সঙ্গে আমাদের একটি প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছে। দ্রুতই আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একই ধরনের সমঝোতা স্মারক সই হবে আশা করছি।
 
২০১৩ সালে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা করতে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন প্রণয়ন করা হয়। সে আইন অনুযায়ী, কৌশলগত বা স্ট্র্যাটেজিক বিনিয়োগকারী হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদিত দেশি বা বিদেশি কোনো স্টক এক্সচেঞ্জ বা বিনিয়োগ ব্যবস্থাপক কোম্পানি বা বিনিয়োগ ব্যাংক বা কোনো খ্যাতনামা আর্থিক প্রতিষ্ঠান। উন্নততর প্রযুক্তিগত সুবিধা, ইমেজ উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনাগত ও ব্যবসা উন্নয়নে তাদের অংশীদারিত্বই কৌশলগত বিনিয়োগকারী নেয়ার মূল উদ্দেশ্য।
  
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।