ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সালতামামি

নারায়ণগঞ্জে কার্যালয়হীন বিএনপির আরও এক বছর

মাহফুজুর রহমান পারভেজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২২
নারায়ণগঞ্জে কার্যালয়হীন বিএনপির আরও এক বছর

নারায়ণগঞ্জ: আরও একটি বছর কার্যালয়হীন অবস্থায় ঘরে এবং হোটেলে বৈঠক ও সভার মাধ্যমে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে। রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করা বিএনপির জেলা কিংবা মহানগর কার্যালয় নেই প্রায় ৫৭ মাস ধরে।

দীর্ঘ এ সময়ে তাদের নেওয়া হয়নি কোনো সমন্বিত অস্থায়ী কার্যালয়ও।

২০১৭ সালের মার্চ মাসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়টি ভেঙে দেওয়া হয়। কার্যালয়টি না ভাঙতে আদালতে মামলা করেছিল বিএনপি। সে মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) জয়ী হয়। বর্তমানে সেখানে বহুতল ভবন তৈরির কাজ চলছে। বলা হয়েছে, সেটি সম্পন্ন হলে সেখানে বিএনপির অনুরূপ কার্যালয় বুঝিয়ে দেবে নাসিক অথচ সেই কার্যালয়ের স্থানেই চলছে দোকান নির্মাণের কাজ।

এদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের বাসভবনের নিচতলায় মজলুম মিলনায়তনে জেলার কার্যক্রম ও মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের বাড়ির একটি অফিস কক্ষ থেকে মহানগর বিএনপির অস্থায়ী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের তৃতীয়তলায় নিজস্ব কার্যালয়টি রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছেন। সেখানে তিনি তার অনুগত নেতাকর্মীদের নিয়ে বসে দলীয় বৈঠক ও সভা করেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন জানায়, ২০১৩ সালের মার্চে জেলা বিএনপির কার্যালয় ও ভবনের নিচতলায় অবস্থিত দোকান মালিকদের বলা হয়েছিলো সেখানে নয়তলা বিশিষ্ট মার্কেট করা হবে। ভবনের নিচতলায় যাদের দোকান ছিল তাদের নতুন ভবনে একই রকম দোকান দেওয়া হবে।

এছাড়া দ্বিতীয়তলায় থাকা জেলা বিএনপির কার্যালয়টিও অনুরূপ আকৃতির করে দেওয়া হবে। কারণ বিএনপি কার্যালয় ও দোকান মালিকরা আগেই পজিশন কিনে নিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমি তো হাইকোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলাম এ কার্যালয়ের জন্য। এখন মজলুম মিলনায়তনে অস্থায়ীভাবে চলছে বিএনপির কার্যক্রম। তবে নেতাকর্মীরা চাইলে আমরা বড় পরিসরে একটি অস্থায়ী কার্যালয় নিতে পারি। আমাদের কার্যালয়টি অবশ্যই আমাদের বুঝিয়ে দিতে হবে, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে না দেওয়ার জন্য নানা পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি।

নরায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল জানান, আপাতত অস্থায়ী কার্যালয় আমরা নিয়েছি কালির বাজারে। সেখান থেকে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কার্যালয় কেন নাসিক এতদিন ধরে বুঝিয়ে না দিয়ে বিলম্ব করছে তাদের কাজ আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২২
এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।