ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সালতামামি

ফিরে দেখা ২০১৯

মাছ শিকারে গিয়ে মারা যান ভোলার ২৫ জেলে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
মাছ শিকারে গিয়ে মারা যান ভোলার ২৫ জেলে মৃত জেলেরা। ফাইল ফটো

ভোলা: নানা ঘটনায় ২০১৯ সাল কেটেছে ভোলাবাসীর। বিশেষ করে জেলে পরিবারগুলো ছিল আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায়। কেননা ঝড়ের কবলে মাছ শিকারে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছেন অনেকে। এছাড়াও ট্রলারডুবি আর নিখোঁজ জেলে হওয়ার ঘটনা ছিল বছরজুড়েই।

স্বজন হারিয়ে জেলে পরিবারে যেন এখনো কান্নার রোল। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে নানা সংকটে দিন কাটছে জেলে পরিবারে।

গত এক বছর জেলায় সর্বমোট ২৫ জেলে নিহত হয়েছেন। এছাড়াও নিখোঁজ ও আহত হয়েছে আরও ৫০ জেলে। ঝড়ের কবলে পড়ে এসব জেলে নিহত হয়।

নিহত জেলের মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার ১৬ জন, ভোলা সদরে চারজন, বোরহানউদ্দিনে তিনজন ও লালমোহন উপজেলায় দুইজন রয়েছে।

বছরের সবচেয়ে বেদনাদায়ক জেলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ১০ নভেম্বর। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ট্রলার ডুবে নিহত হয় ১০ জেলে। ভোলা সদরের ইলিশা পয়েন্টে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এতে চরফ্যাশনের নুরাবাদ, মাদ্রাস ও আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আব্বাস, হাসান, রফিক, বিল্লাল, নজরুল, নুরুন্নবী, কামাল, কবির, মফিজ ও সামসু। মৎস্যজীবীদের কাছে স্বরণকালের ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার কথা মনে করে আজো আতকে উঠেন। স্বজন হারিয়ে কষ্টে দিন কাটছে জেলে পরিবারগুলোর।

সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে আরেক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে আরও ছয় জেলে। ঝড়ের কবলে ট্রলার ডুবির ছয় দিনপর ১০ জুলাই কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

ওই ঘটনায় নিহত অজিউল্যাহ, অলিউল্লাহ, মাকসুদ, বাবুল, কামাল ও জিহাদেরর বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনের জিন্নাগড় ও মাদ্রাজ ইউনিয়ন। এ ঘটনায় নিখোঁজ ছিল ছয় জেলে।

একই মাসে লালমোহনের মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে নিহত হয়েছে কবির ও রাসেল নামের দুই জেলে। বেতুয়া স্লুইজঘাট এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া বিভিন্ন সময় ঝড়ের কবলে ভোলা সদরের মেঘনায় চার ও বোরহানউদ্দিনে তিন জেলের মৃত্যু হয়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজাহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত দুই বছরের সর্বমোট ৪৮ জন জেলে নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ২৮ জেলে চরফ্যাশনের। নিহতের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।