ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সালতামামি

সালতামামি ২০২২

বুয়েট ছাত্র ফারদিনের মৃত্যুরহস্য, আ.লীগ নেতা টিপু হত্যাও আলোচনায়

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
বুয়েট ছাত্র ফারদিনের মৃত্যুরহস্য, আ.লীগ নেতা টিপু হত্যাও আলোচনায়

ঢাকা: শনিবার দিনটি পার হলেই নতুন বছর। ২০২৩ সালকে বরণ করে নেওয়ার আগে লোকজন স্বাভাবিকভাবেই ২০২২ সালকে স্মরণ করবেন।

দেশে নানা বিষয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মাঝে অপরাধ বিষয়ক ঘটনাগুলোরও শেষবারের মতো খবরের পাতা থেকে পড়ে নেবেন তারা। সারা দেশে বহু হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দুই তিনটি ছিল সংবাদের শিরোনামে। যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পারদ চড়েছে চায়ের দোকান থেকে আদালত পর্যন্ত।

জেনে আসা যাক ঘটনাগুলো কি কি। চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত নিহতের ঘটনাটি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের। তার মৃত্যু হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা- তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ঘটনার পর টানা এক মাস আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তের পর ঘোষণা হয় ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, তাদের সন্তানকে মেরে ফেলা হয়েছে।

ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য শুরু হয় গত ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে। সেদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এ ছাত্রের মরদেহটি উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। প্রথমে ময়নাতদন্তের পর জানা যায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন ফারদিন।

তার আগে গত ৪ নভেম্বর ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। সেদিনই নিখোঁজ হন। ছেলেকে খুঁজে পেতে ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা থেকে মরদেহ পাওয়ার পর মামলা করেন তিনি। মামলায় ছেলের বন্ধু আয়াতুল্লাহ বুশরাকে আসামি করেন নূর উদ্দিন। ওই মামলায় গ্রেফতার বুশরাও কারাভোগ করেন।

এরই মধ্যে তদন্তে নামে পুলিশ-গোয়েন্দা বাহিনী ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তদন্ত শেষে গত ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ জানায় ফারদিন নূর পরশ ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। অন্যদিকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) দাবি ফারদিন নূর পরশ ‘স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাপ দিয়ে মৃত্যুবরণ’ করেছেন।

ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর পরই সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ার বস্তি। ওই বস্তির কাছাকাছি ফারদিনের মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়ায় তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ধারণা করেন চনপাড়ায় তাকে হত্যা করা হতে পারে। তবে প্রায় একমাসের তদন্তের পর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, ঘটনার দিন ফারদিনের চনপাড়া যাওয়ার প্রমাণ মেলেনি।

গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে নিজ কার্যালয়ে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের জানান, নিখোঁজ হওয়ার আগে ফারদিন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় একা একাই ঘুরে বেড়িয়েছেন। তদন্তের এ পর্যায়ে বোঝা যায় তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার নন, বরং হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন। ফারদিন তার বান্ধবী বুশরাকে রামপুরা নামিয়ে দেওয়ার পর ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়ান। তিনি কেরানীগঞ্জ ব্রিজের পাড়েও যান। এ সময় তিনি অনেকের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। কিন্তু কোনো ব্যক্তিকে আমরা তার সঙ্গে দেখতে পাইনি।

তিনি বলেন, আমরা যে লেগুনা চালককে গ্রেফতার করেছিলাম জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, কোনোভাবেই তার লেগুনা চনপাড়ার দিকে যায়নি। কারণ লেগুনা ২টা ৩৪ মিনিটের দিকে ফারদিনকে নিয়ে গেছে ডেমরা ব্রিজের কাছাকাছি। তবে চনপাড়া যায়নি এটা আমাদের তদন্তে পরিষ্কার।

ফারদিনের রেজাল্ট ধারাবাহিকভাবে খারাপ হচ্ছিল। ১ম সেমিস্টারে ৩ দশমিক ১৫ তারপর কমতে কমতে ২ দশমিক ৬৭ হয়। যেটা বাসার লোকজন বা আত্মীয়-স্বজন কেউ জানতো না। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে স্পেনে যাওয়ার জন্য তার ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন ছিল। যেটা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিল, যদিও তার বন্ধুরা ৪০ হাজার টাকা দেয়। বুশরাও জিজ্ঞাসাবাদে আমাদের জানিয়েছেন হতাশায় ভুগছিল ফারদিন।

ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর চিকিৎসক যে কথাটি বলেছিলেন, সে রকম তথ্য আমরা পাইনি। তাকে মারপিট বা জামা কাপড় ছেড়া ছিল না। কোথাও ধস্তাধস্তি হয়েছিল এমন বা তার শরীরে ছেঁড়া ফাটা মারধরের দাগও আমরা দেখতে পাইনি। সুরতহাল প্রতিবেদনে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি।

এদিকে, গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ফারদিন মৃত্যুর মামলার তদন্ত বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ঘটনাটির তদন্তে পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের মতো প্রতিটি সেকেন্ডে র‌্যাব তদন্ত করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে র‌্যাব নিশ্চিত হয়েছে সুলতানা কামাল ব্রিজের ওপর থেকে স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাপ দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন ফারদিন। তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায় তার পারিবারিক সূত্র, অধিকতর তথ্য প্রযুক্তির বিশ্লেষণ, সিসিটিভি ফুটেজসহ স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের আলোকে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করে র‌্যাব।

তিনি জানান, গত ৪ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রাজধানী ডেমরার কোনাপাড়া নিজ বাসা থেকে পরীক্ষার কথা বলে বুয়েটের হলের উদ্দেশ্যে বের হন ফারদিন। বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে নিজের পরিচিতের সঙ্গে দেখা করেন। অতঃপর সেখান থেকে নীলক্ষেত ও ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন। পরে সাত মসজিদ রোডে একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ওইদিন রাত আনুমানিক ৮টার দিকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন। পরে রিকশা যোগে রামপুরার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

র‌্যাব জানায়, ওইদিন আনুমানিক রাত পৌনে ১০টার দিকে রামপুরা ব্রিজ এলাকায় ফারদিন রিকশা থেকে নেমে যান। কিছুক্ষণ সেখানে ঘোরাফেরা করেন। প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ফারদিন কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা, বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, পুরান ঢাকার জনসন রোড, গুলিস্তানের পাতাল মার্কেট এলাকায় যান।

ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যায়, রাত ২টা ১মিনিটে (সিসিটিভি ফুটেজ টাইম ২টা ৩মিনিট) যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা থেকে নিহত ফারদিনকে লেগুনায় উঠতে দেখা যায়। রাত আনুমানিক ২টা ২০মিনিটে সুলতানা কামাল ব্রিজের অপর পাশে তারাবো বিশ্ব রোডের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লেগুনা থেকে নেমে যান ফারদিন। রাত ২টা ২৬ মিনিটে সুলতানা কামাল ব্রিজের তারাবো প্রান্তে তার অবস্থান ছিল। পরে রাত ২টা ৩৪ মিনিটে ব্রিজের প্রায় মাঝখানে আসেন তিনি। তারাবো প্রান্ত থেকে সুলতানা কামাল ব্রিজের মাঝখান পর্যন্ত দূরত্ব আনুমানিক ৪০০-৫০০ মিটার। রাত ২টা ৩৪ মিনিট ৯ সেকেন্ডে ওই ব্রিজের রেলিং ক্রস করেন ফারদিন এবং রাত ২টা ৩৪ মিনিটে ১৬ সেকেন্ডে ব্রিজের ওপর থেকে স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দেন। রাত ২টা ৩৪ মিনিট ২১ সেকেন্ডে শীতলক্ষ্যা নদীর পানিতে পড়ে তার দেহ। রাত ২ টা ৩৫ মিনিট ৯ সেকেন্ডে ফারদিনের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও রাত ২টা ৫১ মিনিট তার হাতের ঘড়িতে পানি ঢুকে অকার্যকর হয়ে পড়ে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ, ডিজিটাল ফুট প্রিন্টসহ অন্যান্য সকল সংশ্লিষ্ট আলামত বিবেচনায় নিয়ে আমাদের তদন্তে বের হয়ে আসে, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন স্বেচ্ছায় সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

এদিকে, ফারদিন হত্যার মামলা তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তার মৃত্যু সংক্রান্ত অন্য কোনো সূত্র/আলামত পাওয়া গেলে তা বিবেচনায় নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলেও জানান তিনি।

মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে। রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের এ সাবেক সাধারণ সম্পাদক কে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামের এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এ ছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।

হত্যাকাণ্ডের রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। মামলায় আকাশ ওরফে শুটার মাসুম ও হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী সুমন শিকদার ওরফে মুসাসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যা করতে সুমন শিকদার মুসাকে নির্দেশ দেয় আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী। সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা সন্ত্রাসীরাও যুক্ত হয়। হত্যার পরিকল্পনা ও শুটার নির্বাচন করেন মুসা। হত্যাকাণ্ড ঘটাতে ১৫ লাখ টাকা চুক্তি হয়। পরে টিপুকে হত্যা করতে বোচা বাবু হত্যা মামলার আসামি ওমর ফারুক ৯ লাখ টাকা দেন মুসাকে। অপরদিকে, নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির, আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ ৬ লাখ টাকা মুসাকে দেয়।

হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন আগে (১২ মার্চ) মুসা দুবাই চলে যান। সঙ্গে নিয়ে যান ৫ লাখ টাকা। বাকি ৪ লাখ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে মুসাকে পাঠায় ওমর ফারুক। বাকি ৬ লাখ টাকা দেশে হস্তান্তর করার চুক্তি হয়।

আসামি ওমর ফারুক ছিলেন টিপু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী। এদিকে ২০১৬ সালে মতিঝিলে রিজভী হাসান ওরফে বোচা বাবু হত্যাকাণ্ডেরর চার্জশিটভুক্ত ৪ নম্বর আসামি তিনি। গ্রেফতার নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির হত্যাকাণ্ড সংগঠনের সময় টিপুকে নজরদারী কাজ করেন। তিনিই হত্যাকাণ্ডের অর্থদাতা। ঘটনাস্থলের কাছেই তাকে সাদা শার্ট, জিন্স প্যান্ট ও কেডস পরা অবস্থায় দেখা যায়। যা সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়ে। ঘটনার পরে তিনি তার মোবাইল ফ্লাশ করে বিক্রি করে দেন। তার ব্যবহৃত সিমকার্ডও ভেঙে ফেলেন।

রিজভী হাসান বাবু হত্যার এ ঘটনায় ১ নম্বর চার্জশিটভুক্ত আসামি। তার নামে অস্ত্র আইনে পল্লবী থানায় একটি মামলাও রয়েছে। এদিকে গ্রেফতার মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ ঘটনার দিন টিপুকে নজরদারী ও আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সমন্বয় করিয়ে দেওয়ার কাজ করছিলেন। এর আগে তিনি মতিঝিল থানায় অস্ত্র আইনের একটি মামলায় কারাভোগ করেন। গ্রেফতার আসামি আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহও ঘটনার পরিকল্পনা ও অর্থ যোগানের সঙ্গে জড়িত। তিনি রিজভী হাসান ওরফে বোচা বাবু হত্যাকাণ্ডের ২ নম্বর চার্জশিটভুক্ত আসামি। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অপরাধে ১২টি মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগও করেছিলেন তিনি।

টিপু সরকারি নানা দপ্তরের ঠিকাদারি করতেন। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। ওমর ফারুক যে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সেই এলাকায় একটি রেস্তোরাঁর মালিক ছিলেন টিপু, যেখানে তিনি নিয়মিত বসতেন।

এ বছরের তৃতীয় মাসে আরও একটি ঘটনা অলোচনার সৃষ্টি করে। দুই শিশুসন্তানের মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে তাদের মাকে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি ঘটে বেগুনবাড়ির দক্ষিণগাঁওয়ের সালাম মাস্টার সড়কের মজিবর সাহেবের চারতলায়। নিহতের নাম মুক্তা আক্তার। খবর পেয়ে সবুজবাগ থানা পুলিশ দুই শিশুকে উদ্ধার করে ও তাদের মায়ের মরদেহ মর্গে পাঠায়।

নিহত মুক্তা আক্তারের গ্রামের বাড়ি রংপুরে। মুক্তার স্বামী মাইনুল ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত। চাকরির সুবাদে তিনি সেখানেই থাকতেন। আর মুক্তা দুই সন্তান নিয়ে সবুজবাগের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার বড় সন্তানের বয়স তিন বছর। ছোট সন্তানের বয়স দশ মাস।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
এসজেএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।