ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

আরব আমিরাতের দর্শনীয় স্থানগুলো

মোহাম্মদ ইরফানুল ইসলাম  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
আরব আমিরাতের দর্শনীয় স্থানগুলো শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ

আমিরাত থেকে: কেনাকাটা, দর্শনীয় স্থান, হাই-অ্যান্ড রিসোর্ট, সাদা বালির সৈকত, কৃত্রিম দ্বীপ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সব কিছু মিলিয়ে দেশটি পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক দেশটি ভ্রমণ করেন।

আরব আমিরাত সরকার নিকট ভবিষ্যতে দেশটিকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান করার জন্য পর্যটন শিল্পে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। চলুন জেনে নিই দেশটির জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় কয়েকটি স্থান সম্পর্কে।

দুবাই মিউজিয়াম

দুবাইয়ের এই মিউজিয়ামটি অবস্থিত আল-ফাহিদি দুর্গে। যার নির্মাণকাল ১৭৮৭ সাল। এটি আরব আমিরাতের সবচেয়ে প্রাচীন স্থাপনা। মিউজিয়ামটির দেয়ালগুলো ঐতিহ্যবাহী কোরাল ব্লক দ্বারা তৈরি। উপরের তলাটি কাঠের পোল দিয়ে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আর সিলিং তৈরি করা হয়েছে পাম ফ্রন্ট, প্লাস্টার ও কাদা দিয়ে। মিউজিয়ামটি বিভিন্ন ঐতিহাসিক মডেল প্রদর্শন করে যা তেলখনি পাওয়ার আগে আমিরদের জীবনধারার প্রতিনিধিত্ব করে। এই জাদুঘরের গ্যালারিতে প্রাচীনকালের বিভিন্ন শৈল্পিক জিনিস রয়েছে, এদের মধ্যে কয়েকটি ৩০০০ বছরেরও আগের।

বাসতাকিয়া

আকর্ষণীয় স্থানের তালিকার আরেকটি নাম বাসতাকিয়া। প্রাচীন দুবাই এর প্রতিনিধি এই বাসতাকিয়া এবং বর্তমান দুবাই তথা আরব আমিরাতের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। দর্শনার্থীরা বাসতাকিয়া দেখার মাধ্যমে প্রাচীন ও ঐতিহাসিক আরবীয় স্থাপত্য সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করতে পারবেন। বাসতাকিয়ার উইন্ড টাওয়ারগুলো দেখলে বোঝা যায়, কীভাবে প্রাচীন দুবাই এর মানুষের বিদ্যুৎ সরবরাহের আগে তাদের ঘরগুলোকে শীতল রাখতেন। বাসতাকিয়ার কিছু কিছু ঐতিহাসিক ঘর এখন জাদুঘর ও গ্যালারি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর গ্যালারিগুলোতে দেখা যায়, পুরনো পেইন্টিং, হ্যান্ডক্রাফ্টসসহ বিভিন্ন প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জুয়েলারি।

শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্থানের তালিকার আরেকটি নাম শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ। মসজিদটি অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের একটি আধুনিক নিদর্শন। এর অবস্থান আবুধাবি শহরে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় মসজিদ। মসজিদটি ৩০ একর জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে এবং এখানে একসাথে ৪০ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদের অভ্যন্তরে সোনা, মোজাইক টাইলস, কাচ এবং মার্বেলের প্রচুর ব্যবহার লক্ষ করা যায়। আর বাইরের দিকটা শ্বেতপাথরের তৈরি। আর কিবলার দেয়ালে চোখে পড়বে আল্লাহর ৯৯ টি নাম খচিত।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
এইচএডি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।