ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রাশিয়ার নির্মাণাধীন মিশরের পারমাণবিক প্রকল্পের ২য় ইউনিটের কাজ শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২২
রাশিয়ার নির্মাণাধীন মিশরের পারমাণবিক প্রকল্পের ২য় ইউনিটের কাজ শুরু

ঢাকা: রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মাণাধীন মিশরের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের মধ্য দিয়ে ১৯ নভেম্বর মিশরের এল-দাবা পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের এ দ্বিতীয় ইউনিটের মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

ইতোমধ্যে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর মিশরীয় পারমাণবিক এবং তেজস্ক্রিয়তা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ইউনিটটি নির্মাণের অনুমতি দেয়।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রোসাটম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বাংলাদেশের রূপপুরের মতো রোসাটম মিশরের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিশরের বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী ড. মোহামেদ শাকের এল-মারকাবী, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. আমজেদ এল-ওয়াকীল, রোসাটমের মহাপরিচালক ড. আলেক্সি লিখাচেভ, এবং এএসইর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট (এনপিপি প্রকল্প ব্যবস্থাপনা) ড. আলেক্সান্ডার কোরচাগিন।

এল-দাবা এনপিপি মিশরের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প যে কায়রোর প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূমধ্যসাগর উপকূলবর্তী এল-দাবা শহরে  নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পটিতে ৪টি বিদ্যুৎ ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। এল-দাবা প্রকল্পেও ব্যবহৃত হবে রপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর।  

এল-দাবা এনপিপি বাস্তবায়নসহ রাশিয়া প্রকল্পটির পুরো আয়ুষ্কাল ধরে জ্বালানি সরবরাহ, মিশরীয় জনবল প্রশিক্ষণ, প্রথম ১০ বছর প্রকল্পটির অপারেশন ও সার্ভিসিং-এ সহায়তা করবে। এছাড়াও রাশিয়া ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানির জন্য একটি সংরক্ষণাগার নির্মাণ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২২
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।