ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি: চতুর্থ দিনের অনশনে শিক্ষার্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২২
জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি: চতুর্থ দিনের অনশনে শিক্ষার্থী

ঢাকা: জ্বালানি তেলের দাম ৮০ টাকার নিচে নামিয়ে আনতে টানা ৪ দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একক অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আল-আমিন আটিয়া নামের ‘সেই’ শিক্ষার্থী। তিনি মিরপুর বাঙলা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সরকার যদি জনগণের চিন্তা না করে, তাহলে আমি মো. আল-আমিন আটিয়া সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, প্রত্যেক ধরনের জ্বালানি তেলের দাম প্রতি লিটার ৮০ টাকার নিচে না আসা পর্যন্ত এই অনশন কর্মসূচি চলতেই থাকবে।

এর আগে, গত ১৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) বেলা ১১ টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই অনশন কর্মসূচি পালন করছেন আল আমিন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দেশগাঁও গ্রামে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে বারবার লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় নাভিশ্বাস উঠছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই সরকার অযৌক্তিকভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে বার বার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েই যাচ্ছে।

আল আমিন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমাগত নিম্নমুখী হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার কোনো এক অলৌকিক কারণে দাম বাড়িয়েই চলেছে। যার ফলে দেশের বাজারে সব ধরনের পণ্যে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। নিত্যপণ্যের দাম জনসাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। সেই সঙ্গে সব ধরনের খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলো পুষ্টিকর খাবার কেনা তো দূরের কথা, শিক্ষার স্বাভাবিক খরচ মেটাতেও দারুণ হিমশিম খাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে, সরকারকে রাষ্ট্রের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করে লিটার প্রতি ৮০ টাকার নিচে নামিয়ে আনতে হবে। প্রয়োজনে জনগণের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকা থেকে ভর্তুকি দিতে হবে। রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করার জন্য যদি জনগণ রাষ্ট্রকে ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে পারে, তাহলে অবশ্যই রাষ্ট্রকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য জ্বালানি খাত থেকে লাভের চিন্তা বাদ দিয়ে প্রয়োজনে ভর্তুকি দিতে হবে।

এই শিক্ষার্থী বলেন, আমি সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, আমরণ অনশনের ফলে আমার মৃত্যু ঘটলে তার দায় সম্পূর্ণভাবে তাদেরকেই নিতে হবে। অন্যথায় আমার মৃত্যু পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের প্রতিবাদী দাবানলে সরকারের সব কিছু নিমেষেই পুড়ে শ্রীলঙ্কা কিংবা ইরাকের মতো ছাই হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, ১৯ আগস্ট, ২০২২
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।