ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সংকট নিরসনে ভারত থেকে এলো ২৫ লাখ লিটার জ্বালানি তেল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
সংকট নিরসনে ভারত থেকে এলো ২৫ লাখ লিটার জ্বালানি তেল

নরসিংদী: চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অকটেন পেট্রোলসহ বিভিন্ন জ্বালানি পণ্যের কাঁচামাল ন্যাপথা আমদানি করা হয়েছে।  

ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে ন্যাফথা পরিবহন করে নরসিংদীর ঘোড়াশাল শীতলক্ষা নদীর অ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেড জেটিতে পৌঁছেছে।

শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য খালাশ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক রফিকুল ইসলাম, ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহার আলম, অ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেডের ডিরেক্টর অপারেশন এরশাদ হোসেন, সাংহাই শিপের ওনার মাসুদুর রহমান, অ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেডের ডিএমডি সাজেদুল সিরাজ ও জিএম জাহাঙ্গীর আলম।  

জানা যায়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো ১৯শ’ মেট্রিক টন ন্যাফথা আমদানি করা হয়। ১৯শ’ মেট্রিক টন ন্যাপথা রূপান্তর করে ২৫ লাখ লিটার জ্বালানি তেল উৎপন্ন করা হবে। এ ন্যাপথা পরিশোধিত হওয়ার পর ৮০ শতাংশ অকটেন, ৫ শতাংশ পেট্রোল ও ৭ শতাংশ কোরোসিন উৎপাদিত হবে। যা দেশের চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

অ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেড ডিরেক্টর অপারেশন এরশাদ হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে প্রতি মাসে আমরা সাড়ে তিন-চার হাজার মেট্রিক টন ন্যাপথা বাংলাদেশে নিয়ে আসবো। এটি প্রক্রিয়াকরণ করতে পাঁচদিন সময় লাগে। ন্যাপথা পরিশোধিত করার পর পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার মাধ্যমে সারা দেশের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানো হবে। ভবিষ্যতে এ ন্যাপথা বাংলাদেশের ১০ শতাংশ অকটেনের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। দ্রুত সময়ে পৌঁছার কারণে ও দামে কম হওয়ার কারণে এটি আমাদের জন্য সাশ্রয়ী হবে।  

ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহার আলম বলেন, ভারতের হলদিয়া থেকে দূরত্ব কম হওয়ায় ন্যাপথা খুব দ্রুত ঢাকায় পৌঁছে যাবে। এটির প্রক্রিয়াকরণ করতেও সময় কম লাগে। আগে এটা প্রথমে চট্টগ্রামে আসতো, পরে তা অ্যাকোয়া রিফাইনিংয়ে আসতো। যার ফলে ভাড়া বেশি পড়তো। এখন সময় কম লাগার কারণে দ্রুত ন্যাপথা থেকে ফুয়েল উৎপাদন করে জ্বালানি সংকট দূর করা যাবে। ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণে ন্যাপথা বাংলাদেশে আসবে। ন্যাপতা হচ্ছে আলকাতরা ও পেট্রোল থেকে উৎপন্ন দাহ্য তেল বিশেষ।  

বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বছরে ৪৫ লাখ মেট্রিক টন মালপত্র ভারত থেকে নিয়ে আসি। এবারই প্রথম ভারত থেকে ন্যাপথা বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের যে ঘাটতি, তার প্রধান কারণ হলো জ্বালানি তেলের অপ্রতুলতা। দেশে ন্যাপথা অয়েল আমদানির ফলে ফুয়েলের যে ঘাটতি, তা কিছুটা পূরণ হবে। আর সরকার বছরে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ন্যাপথা নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে। আগামীতে আরও ন্যাফথা দেশে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
এসআই/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।