ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

২১ কোটি টন কার্বন নির্গমন রোধ করছে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২০
২১ কোটি টন কার্বন নির্গমন রোধ করছে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র

ঢাকা: রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশনের (রোসাটম) নকশায় সারাবিশ্বে নির্মিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো প্রতি বছর ২১ কোটি টন কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নির্গমন রোধ করছে। এরমধ্যে খোদ রাশিয়ায় ১০.৭ কোটি টন বলে বলে রোসাটমের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে সকলের বাসগৃহ ধরিত্রীকে রক্ষার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে রোববার (৭ জুন) রোসাটমের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নমাত্রার কার্বনভিত্তিক বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইতোমধ্যে নিজেকে প্রমাণে সক্ষম হয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি থেকে পৃথিবীর সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরাসরি এমন কোনো রাসায়নিক নির্গত হয় না যা ওজন স্তরের ক্ষতিসাধন করে কিংবা গ্রিন হাউজ প্রভাবে কোন অবদান রাখে।

২০১৯ সালে রাশিয়ায় রোসাটমের কার্যক্রমের ফলে দূষণকারী পদার্থের নির্গমন ছিল মাত্র ০.১ শতাংশ। রোসাটমের অধিভুক্ত ৪৫টি প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম রয়েছে, যা আইএসও ১৪০০১ সনদপ্রাপ্ত। রোসাটমের কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিগুলো রাশিয়ার সব পারমাণবিক বিদ্যুৎ স্থাপনায় নিয়মিতভাবে মনিটরিং এবং সেম্পলিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। কৃষিজাত খাদ্যপণ্য, বনজ ফল-মুল, পর্যবেক্ষণাধীন এলাকায় উৎপাদিত খাদ্য এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শীতলীকরণ জলাশয়ের পানি, মাছ ও তলানীতে তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরিমাণ নিয়মিতভাবে মনিটর করা হয়।

পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে রোসাটম বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে শিল্পের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ, বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকারক পদার্থের নির্গমন মনিটরিং, পরিবেশ সংক্রান্ত বিধানগুলোর প্রতিপালন, স্যানিটারি সুরক্ষা জোনের উন্নয়ন, ধুলা ও গ্যাস ট্রিটমেন্ট স্থাপনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি।

২০১৯ সালে রোসাটমের প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশগত মোট ব্যয় ছিল ৩৬৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে  গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন ২০১৮ সনের তুলনায় ৬.৪ শতাংশ, বর্জ্য জলের নির্গমন ৭৬২.১ মিলিয়ন কিউবিক মিটার হ্রাস পেয়েছে। রোসাটম মনে করে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ ব্যতিরেকে বর্তমানের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ- বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবেলা সম্ভব নয়। জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সঙ্গে যৌথভাবে পারমাণবিক শক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২০
এসকে/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।