ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

৩৪১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২১০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪০ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৫
৩৪১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২১০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি ছবি: দেলোয়ার হেসেন বাদল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সিলেটের হবিগঞ্জে বেসরকারিভাবে ৩৪১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২১০ মিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (০২ জুন) রাতে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।



‘সামিট বিবিয়ানা-২ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড’ নামে সিলেটের হবিগঞ্জে যৌথভাবে গ্যাসভিত্তিক ওই বিদ্যু উৎপাদন কেন্দ্রটি স্থাপন করতে যাচ্ছে সামিট গ্রুপ ও জিই। এই প্রজেক্টের মোট ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে সামিট ৯০ ও জিই ১৮ মিলিয়ন ডলার দেবে। বাকি ২১০ মিলিয়ন ডলার ১৫ বছর মেয়াদে ঋণ হিসেবে দেবে তিনটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী সংস্থা।

ওই ২১০ মিলিয়ন ডলার ঋণের ৭৫ মিলিয়ন ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি), ৭৫ মিলিয়ন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এবং ৬০ মিলিয়ন ডলার ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) দেবে।

এডিবি’র ইনফ্রাসট্রাকচার ফাইন্যান্স ডিভিশন-১’র পরিচালক ডন পার্কা, আইএফসি’র রিজিওনাল ইনডাস্ট্রি বিভাগের ইনফ্রাসট্রাকচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সের প্রধান হুয়ানচান চো, আইডিবি’র ইনফ্রাসট্রাকচার বিভাগের পরিচালক ড. ওয়ালিদ আব্দেল ওহাব, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান, পরিচালক আয়েশা আজিজ খান উপস্থিত থেকে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আতিউর রহমান।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, আপনারা বিভিন্ন সময় সমালোচনা করে বলেছেন, পাওয়ার প্ল্যান্ট হবে না। ’ কিন্তু এটা সম্ভব হয়েছে। আজকের এই চুক্তি শুধু স্বাক্ষরেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। আগামী এক মাসের মধ্যে এর বাস্তবায়নও শুরু হবে।
 
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশে এই প্রথম কোনও প্রাইভেট সেক্টরে এতো বড় বিনিয়োগ হতে যাচ্ছে। আমি ধন্যবাদ জানাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে। এভাবে ভবিষ্যতে আরও বড় বিনিয়োগের পথ সুগম হবে আশা করি।

এ সময় সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান বলেন, বিদ্যু‍ৎ সংকটের কারণে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪০ ভাগ মানুষের কাছে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। এ প্রেক্ষাপটে চুক্তিটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যা ২০২০ সালের মধ্যে সরকারের ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, এটা আমাদের দ্বিতীয় প্রকল্প। এর আগে সামিট গ্রুপ ১৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা নিয়ে ৩৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মেঘনাঘাটে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প শুরু করে। যা এখন পুরো দমে চলছে।

বিবিয়ানার ৩৪১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সর্বনিম্ন ১.৮০ পয়সা মূল্যে ২০টি মেডিকেল কলেজে আট হাজার রোগীর চিকিৎসার জন্য, একশ’টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে এক ল‍াখ শ্রমিকের জন্য, দুইশ’ স্কুল কলেজের এক লাখ শিক্ষার্থীর পড়াশোনার জন্য এবং চারশ’ গ্রামের এক হাজার কৃষিপাম্পে পাঁচ হাজার একর জমি চাষাবাদের জন্য সরবরাহ করা হবে।

পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে চায়না নর্থিয়েস্ট ইলেক্ট্রিক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেড।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪১ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৫
এসইউজে/এসইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।