ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

আশুগঞ্জ পাওয়ারে ৬ মিলিয়ন ডলার ঘুষ, তদন্ত কমিটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩১ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৫
আশুগঞ্জ পাওয়ারে ৬ মিলিয়ন ডলার ঘুষ, তদন্ত কমিটি

ঢাকা: আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) উচ্চ সুদে ঋণগ্রহণ ও ঠিকাদার নিয়োগে জালিয়াতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। দুই-একদিনের মধ্যেই গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।



এপিএসসিএল-এ উচ্চ সুদে ঋণগ্রহণ ও ঠিকাদার নিয়োগ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ছয় মিলিয়ন ডলার উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে দুই মিলিয়ন ডলার সানফ্রানসিসকো শহরের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বাংলানিউজ ও দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত হয় সোমবার (২৫ মে)।

এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয় সোমবারেই। সেই মোতাবেক সচিব পদমর্যাদার একজনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না।   

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাওয়ার কথা নিশ্চিত করলেও, কারা কমিটিতে রয়েছেন সে বিষয়ে জানাতে রাজি হননি। কমিটিতে প্লানিং কমিশন, বিদ্যুৎ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি রাখা হবে বলে জানা গেছে।
 
আরও জানা গেছে, এপিসিএল’র ৪শ’ ৫০ মেগাওয়াট সাউথ পাওয়ার প্লান্টের জন্য হেজিং পদ্ধতিতে এইচএসবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪শ’ ২০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ও ২শ’ ২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্টের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে ১শ’ ৯৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়া হয়েছে। যার জন্য সাড়ে তিন শতাংশ হারে সুদ গুণতে হবে বাংলাদেশকে।
 
অন্য দিকে, একই ঋণ লাইবর পদ্ধতিতে নেওয়ার সুযোগ ছিল। লাইবর পদ্ধতিতে সুদের হার দশমিক চার শতাংশ বিরাজ করছে। ১৯৯৯ সাল থেকেই নিম্নমুখী এ সুদের সূচক।
 
অভিযোগ উঠেছে, উচ্চ সুদে ঋণগ্রহণ ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে গোপন লেনদেন করা হয়েছে। সানফ্রান্সিসকো শহরের ‘ওয়েলস ফারগো’ ব্যাংকের একটি শাখায় এপিএসসিএল’র সদ্য বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ছেলে মাহফুজ আলমের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে এ লেনদেন হয়েছে।

স্পেনের একটি ব্যাংক থেকে দুই মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করা হয়েছে। আশুগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিটটির নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছে একটি স্প্যানিশ প্রতিষ্ঠান। এ কারণে সন্দেহ আরও জোরালো হচ্ছে।

** বিনিময় ছয় মিলিয়ন, দেশের ক্ষতি ৪৫ মিলিয়ন

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৫
ইএস/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।