ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুৎ কর্মীদের স্যাক্রিফাইস করতে বললেন প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪
বিদ্যুৎ কর্মীদের স্যাক্রিফাইস করতে বললেন প্রতিমন্ত্রী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নতুন প্রজন্মের জন্য আগামী চার-পাঁচ বছর সরকারি বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ সেক্টরে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ ‘স্যাক্রিফাইস’ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিদ্যুৎ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।



অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এ বছর বাজেটে যেভাবে বিদ্যুৎখাতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, আগামীতে এর তিনগুণ দিতে চাই। আগামী তিনবছরের মধ্যে সব গ্রাহককে সিঙ্গাপুর মানের প্রিপেইড মিটার দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে বিদুৎ বিভাগকে প্রচলিত স্কিলের বাইরে একটি অন্য লেভেলে দেখতে চাই। এজন্য আপনাদের (কর্মকর্তা) সর্বোচ্চ স্যাক্রিফাইস করতে হবে।

তিনি বলেন, মহাজোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ হওয়ায় প্রতিবেশি দেশগুলো আমাদের ঈর্ষার চোখে দেখছে। আরও নতুন কেন্দ্র স্থাপন  করা হবে, যা হবে বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তি নির্ভর। সেরা মানের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য আপনাদের (কর্মকর্তা-কর্মচারী) দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সেজন্য একটি ইনস্টিটিউট করতে চাই।

নসরুল হামিদ বলেন, টেকনিক্যাল ফল্ট মোকাবেলায় হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্টের কোনো বিকল্প নেই। ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্বারণ করা হয়েছে তা কোনো স্বাভাবিক পথ নয়। এই পথে চলতে হলে প্রযুক্তিকে আয়ত্বে আনতে হবে। কেবল অফিস করলেই চলবে না।

এক্ষেত্রে মন্ত্রী বিদ্যুৎ বিভাগে কাস্টমার কেয়ার ও কমিউনিকেশন স্কিলড বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফেসবুকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ ব্যক্তি আমার কাছে বিদ্যুৎতের লাইন চান। আমি যদি এটা মেনটেন করতে পারি আপনারা কেন পারবেন না?

তিনি বলেন, গ্রাহককে সেবা না দিলে তারা বিল দেবে না। আর বিল না দিলে আপনাদের বেতনও হবে না!

ফেসবুকে পেইজ খোলা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেইজ খোলার পর গত দুদিনে সেখানে ৭৪ হাজার লাইক পড়েছে। আর উন্নয়নের জন্য সাতহাজার পরামর্শ এসেছে।

এসময় জাপানের সহায়তায় বিদ্যুতের মাস্টার প্লান রিভিউয়ের কাজ চলছে বলেও মাজান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।

বাজারে নিম্নমানের সোলার প্যানেলের ছড়াছড়ি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বের তৃতীয় সোলার প্যানেল ব্যবহারকারী দেশ। এবার এর মানের দিকে নজর দিতে হবে।

বিদ্যুৎ সংক্রান্ত মালামাল পরীক্ষার জন্য একটি পরীক্ষাগার স্থাপনের আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পকির্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম  বলেন, দুর্নীতির কথা বলে উন্নয়নকে থামিয়ে রাখা উচিত হবে না। আমরা উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে দুর্নীতিকে প্রতিহত করতে চাই।

বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠ‍ানে অন্যদের মধ্যে ডিজি (পাওয়ার সেল) মোহাম্মদ হোসেন বক্তব্য দেন।

সমাপনী দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৯টি ক্যাটাগরিতে নয় ব্যক্তিকে পুরস্কার দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।