ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিপিসি’র দেড়শ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ

জ্বালানি সচিবসহ ৫ জনের শুনানি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪
জ্বালানি সচিবসহ ৫ জনের শুনানি

ঢাকা: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) দেড়শ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু বকর সিদ্দিকসহ চার আমলা এবং এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার শুনানি গ্রহণ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্য্যন্ত দুদক চেয়ারম্যান মোঃ বদিউজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিশন তাদের শুনানি গ্রহণ শুরু করেন।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের ৫ম তলার মিনি কনফারেন্স রুমে তাদের শুনানি নেওয়া হয়েছে।

দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র বাংলানিউজকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।

দুর্নীতির মামলায় যাদের শুনানি গ্রহণ করা হয়েছে তারা হলেন- জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (বিপিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান) আবু বকর সিদ্দিক, ওএসডিতে থাকা অতিরিক্ত সচিব (বিপিসি’র সাবেক সচিব) আনোয়ারুল করিম, বিপিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান একেএম জাফরউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত সচিব), সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মুক্তাদির আলী এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) বিপিসি’র সাবেক ডিএমডি মোঃ আবদুল আউয়াল।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ওশান লস (সমুদ্রে পরিবহনজনিত লোকসান) কম-বেশি দেখিয়ে আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের বিপরীতে বিপিসি ১৫০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করে। এ অর্থ আত্মসাৎ করেন বিপিসি’র সাবেক পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তা।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০১৩ সালের ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর থানায় মামলা করে দুদক। ৮ মাস তদন্ত শেষে ২৯ জুন পাঁচ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন উপ-পরিচালক যতন কুমার রায়। এর আগেই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে দুদক আইনের ২২ ধারা অনুযায়ী পাঁচ অভিযুক্তই ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন জানান। এ আইন অনুযায়ী কমিশন প্রয়োজন মনে করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিতে পারে।

**জ্বালানি সচিবসহ ৫ জনের শুনানি চলছে দুদকে

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।