ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন: চীনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল মহেশখালীতে

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৪
বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন: চীনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল মহেশখালীতে

মহেশখালী (কক্সবাজার): মহেশখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ২৯ এপ্রিল চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে।

এ লক্ষ্যে রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চীনের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল মহেশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের স্থান ও তৎসংলগ্ন সামুদ্রিক এলাকা পরিদর্শন করে।



বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক (গণযোগাযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী রোববার দুপুরে বাংলানিউজকে জানান, চীনের অন্যতম বৃহৎ সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা চায়না হুয়াদিয়ান কর্পোরেশন লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট মি. চেং লিয়ানগও এর নেতৃত্বে চীনের পাঁচ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল মহেশখালী পরিদর্শনে আসে। মহেশখালী দ্বীপে কয়লা ভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বৃহদাকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের উদ্দেশে তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে করেন।

তিনি আরো জানান, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পিডিবি চট্টগ্রাম বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সচিব মো. জহুরুল হক ছিলেন।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সচিব মো. জহুরুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ওই প্রতিনিধি দল প্রস্তাবিত এলাকা পরিদর্শন করবে বলে জানানো হয়। চিঠির মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে পরিদর্শন এলাকায় প্রতিনিধি দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ারুল নাসের বাংলানিউজকে জানান, প্রতিনিধি দলটি প্রথমে সমুদ্র পথে প্রকল্প সংলগ্ন এলাকা ও পরে উপকূলীয় প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।

কক্সবাজার-২ আসনের (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) এমপি আশেক উল্লাহ রফিক বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের সামগ্রিক উন্নয়ন চিন্তা থেকে মহেশখালীতে বৃহদাকার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে। চীনের উচ্চ পর্যায়ের এই প্রতিনিধি দল সম্পূর্ণ ডিপ্লোম্যাটিক প্রক্রিয়ায় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থান পরিদর্শন করেন।
 
মহেশখালী দ্বীপের পশ্চিমে ছয়টি মৌজার বিপরীতে পাঁচ হাজার ছয়শ’ একর জায়গা জুড়ে এই বিদুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হতে যাচ্ছে। মহেশখালীতে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম প্রকল্পটি ১২শ’ একর জমির উপর মহেশখালীর মাতারবাড়িতে স্থাপিত হচ্ছে। জমির মালিক ও স্থানীয়দের ব্যাপক বিরোধিতার পরও এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।