ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

এবার চীনের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় বিদ্যুৎকেন্দ্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৪
এবার চীনের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় বিদ্যুৎকেন্দ্র ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ভারতের পর এবার চীনের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ‘চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন’র সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়।



পটুয়াখালীতে প্রস্তাবিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে উভয় দেশের সমান সমান শেয়ার থাকছে।
 
এ জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি ও চীনা কোম্পানির সমন্বয়ে একটি নতুন কোম্পানি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি আরো  বলেন,  চীনের এই বিনিয়োগ প্রমাণ করে সরকারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা রয়েছে। এই দেশের প্রতি আস্থা রয়েছে।

বিদ্যু‍ৎ কেন্দ্রটি আমদানি করা কয়লা দিয়ে চালানো হবে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মধুপুর এবং দেবপুর মৌজায় সরকারি খাস জমি রয়েছে। এখান থেকে অল্প কিছু মানুষকে পুর্নবাসন করলেই বিদ্যু‍ৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির এমডি খোরশেদ আলম।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রার খুব কাছে আন্ধারমানিক এবং রামনাবাদ নদীর মোহনায় স্থাপন করা হবে। এ জন্য কয়লা খালাসে তেমন সমস্যা হবে না।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মকে পথ দেখিয়ে দিয়ে যাচ্ছি। এই পথে এগোলে দেশের ভাল হবে। তারা সেই পথে যাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিগত বিএনপি সরকারের সময় আধা বিলিয়ন ডলারের কোনো প্রকল্পর কথাই শোনা যায়নি। এখন বাংলাদেশের একটি কোম্পানি দুই বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বর্তমান সরকার প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ শুধু সম্ভাবনার দেশ নয়, বাংলাদেশ বাস্তবতারও দেশ।  

সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে বিদ্যু‍ৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম চীনা রাষ্ট্রদূত লী জুন, সিএমস’র প্রেসিডেন্ট ওয়াং সু সেন বক্তব্য রাখেন।

রামপালের পর এটিই দেশের বৃহত্তম বিদ্যুত প্রকল্প। একই উৎপাদন ক্ষমতার বাগেরহাট বিদ্যুত কেন্দ্রটি রামপালে ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করছে পিডিবি। পটুয়াখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে সরকারের বর্তমান মেয়াদের মধ্যে উৎপাদনে আনা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।